৩:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টে ০১, ২০২২
প্রবাহ রিপোর্ট : লক্ষ্মীপুরের সরকারী অধিদপ্তরের বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে হালনাগাদ কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ২ থেকে ৩ বছর আগের পুরোনো তথ্য দেওয়া আছে সেখানে। সরকারী কোন কর্মকর্তা বদলী হয়ে গেলে বা নতুন কর্মকর্তা যোগদান করলেও সে ধরনের তথ্য হালনাগাদ করা হয়না। এছাড়া ওয়েবসাইটে সরকারী অফিসের সেবা সমূহ , ভিশন, মিশন, লক্ষ্য, অর্জন সমূহ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, বিভিন্ন বরাদ্দের তালিকা দেওয়া নেই। আবার কোন কোন ওয়েবসাইটে কয়েক বছর আগের তালিকা দেওয়া রয়েছে।
এসব ওয়েবসাইট থেকে কোন তথ্য নিতে চাইলেও সম্ভব হচ্ছে না কারোর। যদিও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই চালু হয়েছে এসব ওয়েবসাইট।
তবে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া থাকলেও জেলার বেশ কয়েকটি অন্যন্য সরকারী অফিসের ওয়েবসাইট ভিজিট করে তেমন কোন তথ্য দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এ অফিসের নামে একটি ওয়েবসাইট থাকলে সেখানে নেই তেমন কোন তথ্য। অফিস প্রধানের নামের স্থলে নেই কারো নাম বা মোবাইল নাম্বার। তবে কর্মচারীদের তালিকায় কয়েকজনের নাম এবং মোবাইল নাম্বার রয়েছে। তাদের সাপ্রতিক কোন কর্মকান্ডের তথ্য নেই পেইজটিতে। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ওয়েবসাইটেও একই অবস্থা। কোন কর্মকর্তা নাম বা মোবাইল নাম্বার নেই সেখানে। আর দাপ্তরিক কর্মকান্ডের কোন তথ্যও পাওয়া যায়নি সেখানে।
লক্ষ্মীপুর শিশু একাডেমীর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের কোন তথ্য। সেখানে কোন কর্মকর্তার নাম নেই, নেই কোন কর্মকান্ডের তথ্য। লক্ষ্মীপুর উপকর কমিশনারে ওয়েবসাইটও একেবারে ফাঁকা। নেই কোন তথ্য।কোন কোন সরকারী ওয়েভসাইটে সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামের তালিকা দেওয়া থাকলেও নেই তাদের অর্জন সমূহ এবং কর্মকান্ডের তথ্য।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে উপজেলা কর্মকর্তাদের তালিকাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে যারা রয়েছেন তাদের কেউ এখন আর কর্মরত নয় লক্ষ্মীপুর জেলাতে। রামগতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আহসান গত মার্চ মাসে কুমিল্লায়, কে এম মোস্তাক আহমেদ রায়পুর থেকে গত ডিসেম্বরে বদলী হয়েছেন। দৌলতের রহমান রামগঞ্জ থেকে দেড় বছর আগে নারায়ণগঞ্জ, পরিমল কুমার ঘোষ সদর উপজেলা থেকে গত জানুয়ারী মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ও মোঃ মফিজুর রহমান গত ফেব্রুয়ারি মাসে টাঙ্গাইলে বদলী হয়ে যান। কিন্তু ওয়েবসাইটে থাকা তালিকা দেখলে মনে হবে, তারা এখনো লক্ষ্মীপুরে কর্মরত।
এসব বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি কালের প্রবাহকে জানান, জনবল সংকটের কারণে এমনটি হচ্ছে , তবে শিঘ্রই হালনাগাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শুধু সরকারী জেলা অফিস নয়, উপজেলা ভিত্তিক দাপ্তরিক ওয়েবসাইট এবং ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটেও কোন ধরনের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া নেই।
জেলার কয়েকটি থানার ওয়েবসাইটে ঢুকে নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন হলেও ওয়েবসাইটে রয়েছে একে ফজলুল হক। কমলনগর থানায় মোসলেহ উদ্দিনের নাম, সদর থানায় মো. জসিম উদ্দিনের নাম রয়েছে। যদিও এ তিনি কর্মকর্তার থানা বহু আগেই রদবদল হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইট থেকে তারা রদবদল হতে পারেননি। আবার ওয়েবসাইটে রামগতি ও রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত নাই নেই।
অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটেগুলোতে বিভিন্ন অর্থবছরের বরাদ্দের তালিকা দেওয়ার কথা থাকলে বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে পুরনো অর্থ বছরের বরাদ্দের তালিকা দেওয়া রয়েছে।
সরকার দপ্তরের ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা এএসএম ইলিয়াস হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিজিটাল যুগে যে কেউ চাইলে যে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকে যে কোন তথ্য পেতে পারে। কিন্তু আমি লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের কোন তথ্য পাইনি। সেখানে কোন কর্মকর্তার নাম বা মোবাইল নাম্বার দেওয়া নেই। জরুরি প্রয়োজনে চাইলেও কেউ যোগাযোগ করতে পারবে না।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩