৫:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলা ২৮, ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক :
এবছর মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সরকারি তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাবি ছাত্র ফিরোজসহ অন্তত নয়জন মারা গেছেন। আগামী মাসে বা ভরা মৌসুমে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে আক্রান্তের এই অনুমিত সংখ্যা পাওয়া গেছে।
এরই সুযোগে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অসাধু ব্যবসায়ীরা সেবার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন কয়েকগুন টাকা।
রবিবার (২৮ জুলাই ) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
যা হুবহু তুলে ধরা হলো-
১৪৫ টাকার ডেঙ্গু টেষ্ট ২০০০ টাকা!!! সেবা না ডাকাতি??
ডেঙ্গু জ্বরের টেস্ট ও চিকিৎসার নামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এখন ঈদের মৌসুম চলছে!! ঢাকা মেডিকেলে NS1 এন্টিজেন টেস্টের ফি ২৫০/- টাকা । একই টেস্টের জন্য ইবনে সিনা আমার কাছে নিয়েছে ৫৩৩/- টাকা (ডেঙ্গু অফার, ৫০% ছাড়ে), এপোলো হাসপাতালে নিয়েছে ১৯০০/- টাকা। ঢাকার কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল ২০০০/- টাকারও বেশি নিচ্ছে বলে শুনেছি।
প্রথম আলোতে দেখলাম ডেঙ্গু টেস্টের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে ভাল মানের টেস্ট কিটের দাম ১৪৫/- টাকা। যে টেস্ট করতে ১৪৫/- টাকা খরচ, সেটার জন্য কত টাকা নেওয়া হলে তাকে সেবা বলা যায়? এত টাকা কোথায় যায়?সেবার নামে তাদের এ নৈরাজ্য থামাতে এগিয়ে আসবে কে? জনগণ, মিডিয়া, সুশীল সমাজ কোথায়?
ঢাকায় সরকারি হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে সবার টেস্ট ও চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। অপরদিকে বেসরকারিতে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে। একই টেস্টের একেক জায়গায় একেকরকম ফিস নিচ্ছে, একেক হাসপাতাল তাদের ইচ্ছামত বিল চার্জ করছে।
সোস্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, ঢাকায় নামকরা এক বেসরকারি হাসপাতাল নাকি এক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ২২ ঘন্টায় ১,৮৬,৪৭৪.৭৭ টাকা বিল করেছে। যেখানে স্যালাইন আর প্যারাসিটামল-ই চিকিৎসা, সেখানে ১ দিনে এত টাকা বিল কিভাবে সম্ভব!! এরকম হলে মানুষ যাবে কোথায়?
এ অবস্থায় জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবশ্যই কিছু করার আছে। বিভিন্ন টেস্ট, বেড/কেবিন ভাড়া, ডাক্তারের ফিস ও হাসপাতালের অন্যান্য বিলের একটি স্ট্যান্ডার্ড মুল্য তালিকা প্রণয়ন এবং তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও প্রকাশ্যে এ তালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করে স্বাস্থ্যসেবায় গলাকাটা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
১১:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রি ২৫, ২০২৩
১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টো ০৮, ২০২১
৫:০৫ অপরাহ্ণ, জুলা ৩১, ২০২১