• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ২:৪৩
  • আর্কাইভ

শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় আসবে লক্ষ্মীপুরে ঝরেপড়া ৬ হাজার ৩শ’ শিশু

৩:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ০৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া ৬ হাজার ৩শ’ স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় জেলার তিনটি উপজেলার উপজেলার ২১০ টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে থাকবে একজন করে শিক্ষক।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির, গ্রামীণ দরিদ্রদের উন্নয়ন সংস্থা (ডরপ্) এর চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আজহার আলী তালুকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মতিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতায় এই আয়োজন করেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় জেলার সদর, রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের ৬৩০০ শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০ টি করে ২১০ টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।

তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনা। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝড়েপড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হুশিয়ারী করে বলেন, ‘বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক যদি অপ্রয়োজনীয় কাজে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শিক্ষা অফিস বা অন্য কোন স্থানে ঘোরাঘুরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে যার স্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করুন। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমি শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে চাই।’

 

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com