১০:২২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৮
নিজস্ব সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুর সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দলিল লেখক ও দালাল চক্ররা তাদের অপকর্ম প্রকাশ্যে চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায়। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণে সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এ ধরনের অনিয়ম জালিয়াতির হোতা কর্মচারী কামরুল ও দলিল লেখক সিন্ডিকেটের বাবুল ও তার সহযোগী ওমর ফারুকের মাধ্যমে দাতা গ্রহীতারা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলিল সম্পাদন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জমির মূল জমা খারিজ খতিয়ান সাব রেজিঃ অফিসারের নিকট প্রদর্শন করার কথা থাকলেও তা না দেখিয়ে টাকার জালে আবদ্ধ করে রাখে। রেজিঃ দলিল সম্পাদন করার সময় দাতা এবং গ্রহীতা উভয় পক্ষের উপস্থিত থাকার সরকারি নিয়ম থাকলেও উক্ত সিন্ডিকেটের কারণে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোন এক পক্ষ উপস্থিত না হলেও দলিল সম্পাদনের কাজ সম্পন্ন করিয়ে দেয়।
অনেক দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রার অফিসে না থাকার দরুন সাহেবের ইচ্ছামত অফিসে এসে রেজিস্ট্রার কবলা সম্পাদন করেন। একজন গ্রাহক থেকে দলিল মূল্যের ১ থেকে ২ পার্সেন্ট টাকা করে দলিল লেখক এর মাধ্যমে সমিতিসহ অফিস খরচের নামে আদায় করে নেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ।
জানা যায়, সরকারি নীতিমালার আলোকে ১ লক্ষ টাকার রেজিঃ মূল্যে সরকারি রাজস্ব আসে সর্বসাকুল্যে প্রায় ১১ হাজার টাকা। অথচ তারা এক্ষেত্রে লোকজন থেকে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অফিসের কর্মচারী কামরুল ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বাবুলদের কবল থেকে সাংবাদিকও রেহাই পায়না,কিছুদিন আগে দেশের নাম করা জাতীয় দৈনিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকেও সরকারি রাজস্বের অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে সাম্প্রতিক স্থানীয় দুই পত্রিকার সম্পাদকও লাঞ্ছিত হয়েছেন এদের হাতে। মনেহয় এ রাজ্যের রাজা তারা-ই বাকীরা সবাই প্রজা!
সচেতন মহল মনেকরে সদর উপজেলা ও পৌরসভার লোকজন দলিল লেখক ও দালাল চক্রের হাতে জিম্মী হয়ে আছে। জনসাধারণ সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত দলিল লেখক ও দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং উপজেলার জনসাধারণ জমি রেজিস্ট্রিতে দুর্নীতি দূর করতে সিন্ডিকেট ঘোষিত কমিশন থেকে মুক্তির দাবি জানান।