• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • শুক্রবার | ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | ভোর ৫:৫১
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তথ্য সংগ্রহে গেলেই লাঞ্ছিত হন সাংবাদিকরা

৩:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যুগযুগ ধরে চলে আসা এমন অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।কোন সাংবাদিক অনিয়মের তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলেই মাসোয়ারা ভোগীদের ইশারা তাদের লাঞ্ছিত করেন দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ, দালাল ও অফিসের লোকজন। তবে  দুএকজন ইন্ধনদাতা সাংবাদিকের নাম আগে গোপন থাকলেও এখন তাদের নাম জানেন অনেকেই।

চাঁদা কালেকশনকারী কামরুল (বাঁয়ে) দলিল লেখক বাবুলের ক্যাডার ওমর ফারুক (ডানে)

গত কয়েক বছরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক ও স্থানীয় দুই পত্রিকার সম্পাদকসহ ছয়জনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক রব পত্রিকার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ মাকছুদুল হককে লাঞ্ছিত করেন, এসময় এসএ টিভির ক্যামরা ছিনতাই করেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী কামরুল ও দলিল লেখক বাবুল এবং তার পালিত ক্যাডার ফারুকসহ কতিপয় দালাল।

এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আতাউর কাওছার, ক্যামেরাপারসন শাওন ও তাদের গাড়িচালককে মারধর এবং লাঞ্ছিত করেন সেখানকার অফিসের স্টাফ ও দালালরা।

এরও আগে ২০১৩ সালে ওই অফিসে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া দৈনিক সোনালী বার্তার জেলা প্রতিনিধি একিউএম শাহাবুদ্দিনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়।

এদিকে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ করলেও  মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি বলে জানান লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর মাহবুব মোহাম্মদ আলী জানান, একটি সরকারি অফিস কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন দুর্নীতির আখড়া গড়ে উঠবে, আর সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করবে এটি খুবই দুঃখজনক। এ অফিসের দালাল ও সুবিধাভোগী চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, এগুলো তো শুধু লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নয়, দেশের ৫৭৬টি অফিসে হয়। সরকারি এলজিইডি ও সওজসহ অন্যান্য অফিসেও দুর্নীতি হয়। গত বছরের ঘটনা আমার মনে নেই। আর বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আমি ছিলাম না।

লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কুমার সাহাকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com