৫:১৬ অপরাহ্ণ, নভে ১৩, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক : উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতিতে সুফলভোগীদের মধ্যে মুরগি ও শেড বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কমলনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রাণি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ২৫ জন নারীকে মুরগি ও লালন-পালনের জন্য ওষুধ, খাদ্য ও শেড দেওয়া হয়েছে। আরও ৩ হাজার ৫১৭ জনের মধ্যে হাঁস ও ভেড়া বিতরণ করা হবে। এগুলো লালন-পালনে সব উপকরণ ও প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামানেরর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ডা. নিতাই চন্দ্র দাস, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আইয়ুব মিঞা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ।
এদিকে, বুধবার সকালে রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে ১২৫ জন সুফলভোগীর মাঝে কৃষি উপকরণ (মুরগী ও শেড) বিতরণ করা হয়েছে। এতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আইয়ুব মিঞা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। এসময় আরো ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ, পৌর মেয়র মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন প্রমুখ।
উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে এবং চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে প্রকল্প’টি শুরু করা হয়। এ প্রকল্পের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত করা।
এছাড়াও উপকূলীয় নারীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলা। লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগি, হাঁস ও ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপন করে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে কাজ করবে এ প্রকল্প।