৩:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টো ১০, ২০১৭
বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থে শহীদ মিনার নির্মাণকল্পে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের মুসলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে কাগজে কলমে। অনুমতি পত্রের (স্মারক নং লজেপ/৩১১) বিপরীতে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা হিসেবে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের স্মারক নং ৪৬.৪২.৫১০০. ০০০.১৪.০৪৭-১৫০৮ নথিতে সহকারী প্রকৌশলী কর্তৃক স্বাক্ষর করা হয় ২০/১/২০১৬ তারিখে।
বরাদ্ধ দেওয়ার ২১ মাস পরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মুসলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কোন শহীদ মিনারের অস্তিত্ব নেই। খবর নিয়ে জানা যায়, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে কাগজে কলমে স্বাক্ষর ছিল কালিদাসেরবাগ গ্রামের গোলন্দাজ বাড়ীর মাষ্টার মোশাররফ হোসেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- কালিদাসেরবাগ গ্রামের গোলন্দাজ বাড়ীর আলী আহম্মদ,সরা বাড়ীর কাজম উদ্দিন, কাছারি বাড়ীর আব্দুস সহিদ ও সাবেক ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রশিদ, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ও এস ও- এই চার রত্ন মিলে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে।
তবে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীর অফিসে সংরক্ষিত মুসলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রকল্প নামক ফাইলে তিনশত টাকার স্ট্যাম্প, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর, শহীদ মিনার নির্মাণের পাথরে নাম ফলক এবং একটি জীবন্ত শহীদ মিনারের ছবি জ্বলজ্বল করছে। মুসলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক বলেন, সমাজের ভালো মানুষরুপী মানুষগুলো শহীদ মিনারের টাকা আত্মসাতের জন্য এত নাটক করতে পারে, তা পূর্বে জানা ছিলনা।
একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই এর অবস্থা। বক্তব্যের জন্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ও এস ও কে একাধিকবার ফোন দিলেও তাদের জবাব পাওয়া যায়নি (যদিও প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর অফিসের বাইরে বলে ফোন লাইন কেটে দেন সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আলম)।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩