৫:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টে ১৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ৫২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে এক মাদক ব্যবসায়ীর ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। একই মামলায় এক আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ হারুন (৩২)।
খালাসপ্রাপ্ত আসামী পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের মৃত আবদুস সোবাহানের ছেলে সহিদ উল্যা সবুজ (৩৯)। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হারুনের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
রায় ঘোষণার সময় সবুজ আদালতে উপস্থিত থাকলেও হারুন পলাতক ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে গ্রেফতার হয় মাদক ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ। এসময় তার কাছ থেকে ৫২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। ওই সময় পুলিশের কাছে হারুন স্বীকার করে- আরেক মাদক ব্যবসায়ী সহিদ উল্যা সবুজ ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে তার কাছে দেয়। সবুজও মাদক ব্যবসায়ী বলে সে পুলিশকে জানায়।
ওইদিন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এহ্তেশামুল হক বাদি হয়ে হারুনুর রশিদকে প্রধান করে এ দুই মাদক ব্যবাসীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন এবং গ্রেফতারকৃত আসামী হারুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে অন্য আসামী সবুজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেয়।
২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ পহলান আসামীদের অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালত সাক্ষ্য-প্রমান ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামী হারুনের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর আসামী সবুজকে খালাসের রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি(পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানু ৩০, ২০২৩