• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | সন্ধ্যা ৬:২০
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে মসজিদের নামে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

১:১২ পূর্বাহ্ণ, অক্টো ০৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে মসজিদের নামে জমি দখল করার অভিযোগ ওঠেছে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। দখল কাজে তিনি মাদ্রাসার কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের পাঠান বাড়ির সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। মসজিদের নামে জমি দখল ও এতে শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

অভিযুক্ত অধ্যেক্ষের নাম লোকমান হোসেন। তিনি ওই এলাকার সুফিয়া আহম্মেদ সেলিনা হোসাইন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় কমর্রত আছেন।

অভিযোগ রয়েছে, লোকমান হোসেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রমমূলক কাজে ব্যবহার করে আসছেন ।

এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসা ভবনের তিন তলা চাদে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী শিশু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বহন করানো হয়।

এছাড়া নির্মাণ কাজেও শ্রমিকদের সহকারী হিসেবে এ শিশুদের ব্যবহার করছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শিশুদের দিয়ে কায়িক পরিশ্রম করানোর একটি ভিডিওচিত্র রয়েছে দৈনিক কালের প্রবাহের কাছে।

শিশুদের দিয়ে জমি দখলের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যার আগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটি সাইনবোর্ড এনে বির্তকিত একটি জমির মধ্যে টাঙিয়ে দেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, বির্তকিত জমি দখল করতে যাওয়া পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করায় যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারতো।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের আটিয়াতলী গ্রামের পলোয়ান বাড়ির তাহের নামের এক ব্যক্তি পাশ্ববর্তী দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের পাঠান বাড়ির সামনে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমির তিন শতাংশ জমির দাগ ও দখল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

ওই জমির পাশেই এক প্লটের পৈত্রিক সূত্রে মালিক মো. শাহজাহান নামের এক প্রবাসী। সম্প্রতি শাহজাহানের জমিটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করান তিনি।

বুধবার বিকেলে তাহেরের নির্দেশে আকস্মিকভাবে শাহজাহানের মালিকানাধীন জমিতে ‘দক্ষিণ মজুপুর হাজী সৈয়দ আহম্মদ পাঞ্জেগানা জামে মসজিদ’ নামে একটি সাইবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যার প্রতিষ্ঠাকাল দেখানো হয় ২০০৭ সাল।

এলাকাবাসীরা জানায়, ওই এলাকায় এ নামের কোন মসজিদের অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র মসজিদের নাম দিয়ে দখলের উদ্দেশ্য এ সাইবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোবাইল ফোনে জানান, জমিটি মসজিদের জন্য ক্রয় করা হয়েছে। বিতর্কিত জমিতে নয়, মসজিদের জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে।

তবে এ কাজে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

 

 

 

 

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com