৫:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ০৯, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৪১১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এদের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ৫৬৭ জন শিশুকে নীল রংয়ের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৪ জন শিশুকে লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১২ জুন (রোববার) থেকে ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ১৪৮০ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুরা এ ক্যাপসুল খেতে পারবে। ৬ টি স্থায়ী কেন্দ্র এবং ১৪৭৪ টি অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ সময় অভিভাবকদের মাঝে শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা। জন্মের পর থেকে শিশুকে শাল দুধ এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ১১ টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে অসুস্থ শিশুদের স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। ভরাপেটে শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো ভালো। ৪ মাসের মধ্যে কোন শিশু যদি এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তবে তাকে খাওয়ানো যাবে না।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে চোখের অনেক প্রভাব পড়তে পারে। এরমধ্যে রাতকানা রোগ, কনজাংটিভার শুস্কতা, বিটট স্পট, কর্নিয়ার শুস্কতা, কর্নয়ার ক্ষত, কর্নিয়ার স্থায়ী দাগ এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পায়।
ভিটামিন ‘এ’ মূলত একটি অনুপুষ্টি। এ উপাদান সমূহ আমাদের অতি সামান্য প্রয়োজন। কিন্তু এগুলো এতই গুরুত্বপূর্ণ যে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রহণ করা না হলে একজন মানুষ অসুস্থ বা শারিরীক ও মানষিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়া ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৮১ সাল থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত জাতীয় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুই বার এ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
কেন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য অভিভাবকদের মাঝে প্রচার ও প্রচারণার অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন।