৭:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলা ৩০, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী। এদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর বাকীরা বিভিন্ন মেয়াদে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতা লাভ করেছেন বলে জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৬ তারিখ থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ১১ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সোমবার (২৯ জুলাই) ৯ জন ভর্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে আশিক নামের আট বছরের এক শিশুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর হাসপালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নাসির হোসেন (৩৫) জানান, গেল শুক্রবার তিনি প্রচন্ড জ্বর অনুভব করেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের সরনাপন্ন হলে তার ডেঙ্গু হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা নেওয়ায় বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ অনুভব করছেন।
একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী নুর জাহান স্বর্ণা (১৮) জানান, তিনি ঢাকাতে বেড়াতে যান। সেখান জ্বর অনুভব করেন। পরে বাড়িতে আসলে জ্বরের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। বিষয়টি ডেঙ্গু ভাইরাস বলে শনাক্ত হলে গেল রোববার তিনি সদর হাপাতালে ভর্তি হলেও এখনো অবস্থা অপরিবর্তীত রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত মোট ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় এদের অনেকে সুস্থ হয়ে ওঠেছে। বর্তমানে ১১ জন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
ডা: আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। কারো ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে।’ ডেঙ্গু রোগীকে খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর জন্য বলেন তিনি।
তিনি এও বলেন, ‘একটু সচেতন হলে ডেঙ্গু রোগ এড়ানো সম্ভব। বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন খালি পাত্র বা স্থানে জমে থাকা পানি নিষ্কাষণ করলে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিবে না। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী টাঙ্গিয়ে ঘুমালে ডেঙ্গ মশার অক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. মোরশেদ আলম হিরু বলেন, ‘ডেঙ্গু ভাইরাস শিশুদের জন্য একটু ব্যতিক্রম। শিশুদের জ্বরের লক্ষণ, পাতলা পায়খানা বা কাশি দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে।’