জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কি. মি. এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদফতর। জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভয়াশ্রমে জেলেদের জাল ফেলা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময় তালিকাভূক্ত জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিবে সরকার। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার না করতে নদীর উপকূলীয় এলাকাসহ হাটবাজার গুলোতে মাইকিং, লিফলেট ও পোষ্টারসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও থানা পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নদী, মাছঘাট, আড়ৎ, হাটবাজার সহ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করবে।
এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ শিকারে গেলে জেলেদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মেঘনা নদীতে মার্চ এবং এপ্রিল দুই মাস সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ। এ সময় জেলেদের মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে তালিকাভূক্ত জেলে প্রতি ৮০ কেজি করে ২ বার ভিজিএফ এর আওতায় চাল দেওয়া হবে।
জেলার সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার প্রায় ৪৯ হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকারে নিয়োজিত। এদের মধ্যে তালিকাভূক্ত জেলের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার ৮৫৩ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তহিদুল ইসলামরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, কোষ্টগার্ড মজুচৌধুরী হাট শাখা কমান্ডার রইছ উদ্দিন, নৌ-পুলিশের ইনচার্জ কামাল উদ্দিন, কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি রফিক ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। সভায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন রক্ষা করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়।