• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | বিকাল ৫:২৯
  • আর্কাইভ

‘রোহিঙ্গা তরুণী’ খুশিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার

৭:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টে ০৮, ২০১৯

ইউএনবিঃ গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ও ভিডিও প্রকাশের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ‘রোহিঙ্গা কন্যা’ রহিমা আক্তার খুশিকে (২০) কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (সিবিআইউ) থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আশ্রয় শিবিরে এই তরুণী ৩৪ হাজার রোহিঙ্গার সঙ্গে বৈধ শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসছেন এবং ১৯৯২ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে ওই তরুণীকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রচার হলে তিনি আলোচনায় আসেন। এরপরই গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল রহিমা আক্তার খুশিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রচারিত দেড় মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশি উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে একটি এনজিওর কর্মী হিসেবে তার স্বদেশি রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন।

ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালে খুশির পরিবার একইভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। সেখানে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো স্কুলে পড়তে পারে না। তাই রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে কক্সবাজারের একটি স্কুলে ভর্তি হয় খুশি। রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে ভর্তি হওয়া সেই স্কুলটি হলো কক্সবাজার শহরের বৈল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি লায়ন মুজিবুর রহমান জানান, খুশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার খুশির জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তক্রমে খুশির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা এবং খুশির ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিতের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবুল কাসেম জানান, মিডিয়া রিপোর্টের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুশিকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোকে ‘রোহিঙ্গা কন্যা’ খুশির বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com