৬:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টো ২৭, ২০১৭
সংবাদদাতা :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ সমর্থিত দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন ভোলাকোট ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে কবির হোসেন ও একই ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে এমরান হোসেন। অন্য আহত হলেন বদলকোট গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আলম হোসেন আরেক জন অজ্ঞাত। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির ও এমরানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
শুক্রবার ( ২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭ টা উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আথাকরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়,স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বশির আহম্মেদ মানিক সমর্থিত ও ৬নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন বিষয়ক সম্পাদক মহিন ড্রাইভার সমর্থিত দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষে হয়েছে।
মূলত গত বুধবার মহিন ড্রাইভারসহ গ্রামের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের ছোট ভাই এলজি নাছির কর্তৃক গণধর্ষনের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত একই ইউনিয়নের নাগমুদ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করার কারনেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান, আথাকরা বাজার এলাকার আশেপাশে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া পেয়েছে।
মহিন ড্রাইভার জানান, আজ সন্ধা সাড়ে সাতটায় আমার মালিকানাধীন বালুবাহি পিকআপ বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে আথাকরা বাজারে গাড়ী থামিয়ে চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ, নোমান হোসেন, খোরশেদ আলমসহ ১০/১২ জন গাড়ীচালক কবির হোসেনকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাম পায়ে ও মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। আমি রামগঞ্জ থানাতে মামলা করার জন্য আসলে খবর পাই আমার ভাগিনা আলম হোসেনকে একই গ্রুপ রাস্তায় আটক করে বেধম মারধর করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি মোবাইলে জেনে মহিন ড্রাইভারের লোকজন বশির আহম্মেদ মানিক সমর্থিত এমরান হোসেনকে আথাকরা বাজারের অদূরে আটক করে বেধম মারধর করে বুকে গুলি করে মৃত ভেবে স্থান ত্যাগ করে।
এদিকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আথাকরা, দেবনগর, দেহলা ও মুক্তারপুর গ্রামে অবস্থান করে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক জানান, আমি রামগঞ্জ থানায় ওসি সাহেবের সাথে কথা বলা অবস্থায় ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তোতা মিয়া জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুইজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হওয়ার খবরের সত্যতাও তিনি নিশ্চিত করেন।