• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৩:৩২
  • আর্কাইভ

পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৌশলী সত্যব্রত’র মৃত্যু ,লক্ষ্মীপুরেও শোক

১:১২ অপরাহ্ণ, ডিসে ১৯, ২০১৭

প্রবাহ ডেস্ক :

চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি সোমবার রীমা কমিউনিটি সেন্টার ট্র্যাজেডিতে নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন হলেন প্রকৌশলী সত্যব্রত ভট্টাচার্য। তিনি এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে লক্ষ্মীপুর সদরে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের কেউ জানতেন না, তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেজবানে অংশ নিতে গেছেন। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পকেটে করে দুই শিশুকন্যার স্কুল ভর্তিফরম নিয়ে বের হয়েছিলেন।

বড় মেয়ে প্রযুক্তি স্তুতি ভট্টাচার্যকে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে প্রজন্ম শ্লোক ভট্টাচার্যকে নার্সারিতে ভর্তি করার জন্য জামালখান লেন সিটি করপোরেশন কিন্ডারগার্টেন থেকে ফরম নিয়ে তা পূরণও করেছিলেন।

ওই দুই শিশুকন্যার স্কুল ভর্তি ফরম পকেটে নিয়ে সোমবার নগরীর আসকারদিঘি পাড় শতদল ক্লাবের পাশের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। পথিমধ্যে বন্ধুদের মন রক্ষায় রীমা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিলেন প্রিয় নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে। আর ফিরে এলেন লাশ হয়ে।

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজ উল্লাহ, ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) জেনিক এর পক্ষে কাজী মাকছুদুল হক ( জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক) ও এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শোক প্রকাশ করছেন।

সত্যব্রত ভট্টাচার্যের ছোট ভাই কৃষ্ণব্রত ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘দাদা তাঁর দুই মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন। বাড়ির কেউ জানত না তিনি মেজবানে অংশ নিতে গেছেন।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বলেছিলেন মেয়েদের স্কুলভর্তি ফরম জমা দিতে যাচ্ছেন। হয়তো এলাকার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে একসঙ্গে মেজবানে গিয়েছিলেন। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারি দাদা আর নেই। ’

রীমা কমিউনিটি সেন্টারের গেট থেকে পুলিশ যখন লাশের স্তূপ সরিয়ে নিচ্ছিল, তখন মাটিতে পড়ে থাকা জুতা, স্যান্ডেল ও চশমার সঙ্গে ছিল এই দুটি ফরমও। ফরমে লেখা ছিলো প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর। পরে সেই নম্বরে খবর দেওয়া হয় নিহত সত্যব্রত ভট্টাচার্যের ছোট ভাই কৃষ্ণব্রত ভট্টাচার্যকে। ফিরিয়ে দেওয়া হয় স্কুলভর্তির ফরম দুটি। ওই দুই শিশুকন্যা হয়তো নতুন স্কুলে ভর্তি হবে বাবার স্বাক্ষর করা ভর্তি ফরম দিয়ে। কিন্তু প্রযুক্তি ও প্রজন্ম তো আর কখনো কাছে পাবে না তাদের প্রিয় বাবাকে।

প্রকৌশলী সত্যব্রত ভট্টাচার্য ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বসবাস করেন তাঁর বাবা-মা। সেখানে বড় ভাই ব্যবসা করেন। এক ভাই চিকিৎসক, ছোট ভাই বিএসআরএম এর কর্মকর্তা।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com