৪:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসে ২২, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনকে সামনে রেসন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তবে লক্ষ্মীপুরের মানুষ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন এই জনপদের মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন। এরা প্রতিনিয়ত অন্যায়ের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনি প্রচারনায় বাধা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, বাড়ি ঘর ভাঙচুর করছে। সন্ধ্যা হতেই নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করছে।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় লক্ষ্মীপুর শহরের গোডাউন রোড এলাকায় এ্যানির বাসভননের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই উল্লেখ করে এ্যানি বলেন, তারা ক্ষমতায় থেকে প্রভাব বিস্তার করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্গন করছে। পোস্টার ছিড়ে নিচ্ছে, প্রচার মাইক ভাঙচুর করছে। এসব ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি জানাই।
এ্যানি আরও বলেন ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে লক্ষ্মীপুর শহরে গণসংযোগ করার সময় শহরের উত্তর তেমুহনী পৌছলে তাদের সন্ত্রাসীরা হামলার চেষ্টা করে। রাতে আমার বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়, অশ্লিল চিৎকার করে ও হুমকি দেয়। ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি এমরান, সাধারণ সম্পাদক খালেদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় এমরানের মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে মারধর করে আহত করে। ১৮ ডিসেম্বর রাতে বাঙ্গাখাঁ এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেয়। হামলা চালিয়ে অন্তত ৮ জনকে আহত করা হয়। প্রতিপক্ষ নৌকা প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ইউনিয়নে হামালা করে, ভাঙচুর চালায়। অপরদিকে, আমার নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচার কার্যাক্রম চালানো অবস্থায় কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব আলম মামুন ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।