৮:৫০ অপরাহ্ণ, মে ০৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে হাজিরপাড়ায় তুই ‘সম্মোধন’ করাকে কেন্দ্র করে উঠতি বয়সী যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের কবল থেকে নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে চান মিয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে।
হামলাকারীদের আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে হামলার শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত চান মিয়া সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চন্দ্রপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মৃত হেসেন আহমেদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের খাদেম ছিলেন। তার বাড়ির সামনেই ঘটনাটি ঘটে।
হামলাকারীরা হলেন, পাশ্ববর্তী দিঘলী ইউনিয়নের উত্তর জামিরতলী গ্রামের বাপ্পী, সুজন, মারুফ, আজাদসহ ৮/১০ জন। এদের মধ্যে স্থানীয়রা হামলাকারী সুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা এলাকার উঠতি বয়সী যুবক। তাদের নেতৃত্বে এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ রয়েছে। একে অপরকে ‘তুই’ বলাকে কেন্দ্র করে হামলার সূত্রপাত ঘটে।
নিহত চান মিয়ার নাতি ইমরান হেসেন (১৯) বলেন, আমরা বাড়ির পাশের একটি মার্কেটে আড্ডা দিই। সেখানে কিশোর গ্যাং গ্রুপের লিডার বাপ্পীর নেতৃত্ব একটি গ্রুপও আড্ডা দিতো। ফরিদ (১৯) নামে আমার এক বন্ধু নাকি কয়েক মাস আগে বাপ্পীকে ‘তুই’ বলে সম্মোধন করেছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বাপ্পী ফরিদকে মারধর করতে আসে। পরে আমরা বাড়ির দিকে চলে আসি।
কিছুক্ষণ পর বাপ্পীর নেতৃত্বে ৮/১০ জন যুবক এসে আমদের উপর হামলা চালায়। আমার নানা তাদেরকে মারামারি না করতে বললে তারা আমার নানার উপর হামলা করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, চন্দ্রপুর চৌধুরী মার্কেটের সামনে প্রতিনিয়ত বখাটেরা দলবদ্ধ হয়ে আড্ডা দেয়। তাদের একটি ‘কিশোর গ্যাং’ বাহিনী রয়েছে। বাপ্পী ওই বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতো।
নিহতের ছেলে মো. আমির হোসেন বলেন, আমরা এখনো মামলা করিনি। পুলিশ আমার বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে থানায় মামলা করবো।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কয়েকজন যুবকের হামলায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সুজন নামে এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।