• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ২:২৬
  • আর্কাইভ

জেলেরা কথা রাখলেও, প্রশাসন কথা রাখেনি

৮:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টো ২৪, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি ছিল নিষিদ্ধ।

তবে এবছর জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বিগত বছরের চেয়েও বেশি। নির্বিঘ্নে পোনা ছাড়তে পেরেছে ৮০% মা ইলিশ। জেলেরা নদীতে নামেননি। জেলেরা কথা রাখলেও কথা রাখনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।এমন অভিযোগ জেলেদের।

জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, নিষিদ্ধ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও লক্ষ্মীপুরের ৬০ হাজার জেলে তা পায়নি।ফলে জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।এসময় জেলেরা ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন, তবুও নদীতে মাছ শিকারে যাননি।

আলেকজান্ডার  এলাকার জেলে রাসেল ও হাজির হাট এলাকর লদুয়া  ঘাট এলাকার জেলে বাবুল জানায়, মেঘনা নদীতে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। অভিযানের সময় নদীতে মাছ ধরতে না পারায় তাদের অলস সময় পার করতে হয়েছে। নির্ধারিত এই ২২ দিন তাদের সংসার কষ্টে কেটেছে। মহাজনদের থেকে তাদের টাকা নিতে হয়েছে। হাট-বাজার থেকে বাকিতে চাল-ডাল কিনে কোন রকম টেনেটুনে সংসার চালিয়েছেন। সরকার আমাদের চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করলে কেউ ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যেতো না।

রামগতি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, আজ চর বাদাম ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব নিবন্ধিত জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

জেলেরা তাদের ভিজিএফ চাল পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com