• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার | ২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | বিকাল ৩:১১
  • আর্কাইভ

চন্দ্রগঞ্জ মসজিদের সম্পত্তি রক্ষার নামে ভূমি অফিসে হামলা আটক

১০:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ০৪, ২০১৮

চন্দ্রগঞ্জ সংবাদদাতা : লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জে চরশাহী ইউপির বসুরহাট বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গা রক্ষার নামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) শম্ভু মজুমদারকে তার অফিসকক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়। একই সময় ভূমি অফিস সংলগ্ন হিন্দুদের একটি বটগাছের বাউন্ডারী বেড়ায় অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা।

এঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে পুলিশ এবং ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইকবাল হোসেন, সদর ইউএনও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সদর এসিল্যান্ড শাহরিন ফেরদৌসী, স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদসহ চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ঘটনার উস্কানীদাতা স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও মসজিদ কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে আটকের নির্দেশ দেন সদর ইউএনও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

জানা যায়, বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি সরকারি জায়গায় স্থাপিত এবং অজু করার পুকুরটির ১৫ শতাংশ জায়গাও সরকারি। কিন্তু পুকুর ঘাটের মুখে দোকান নির্মাণ করায় দোকান ঘরটি সরিয়ে নিতে নোটিশ দেন, স্থানীয় তহসিলদার শম্ভু মজুমদার। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ কমিটির সাথে তহসিলদারের বাকবিতন্ডা হয় গত কয়েকদিন আগে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন অন্যান্য ব্যবসায়ী ও মুসল্লীদের একত্রিত করে আজ সকালে বসুরহাট বাজারে তহসিলদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আয়োজন করে।

আজ বেলা ১১টায় তহসিলদার ইউনিয়ন পরিষদের দোতলায় তার অফিসে এসে অবস্থান করলে বিক্ষুব্ধরা তহসিলদারের বিরুদ্ধে অশালীন এবং ধর্মীয় উস্কানীমূলক শ্লোগান দিয়ে তার কক্ষে হামলা চালায়। এসময় অফিসের কয়েকটি আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে তার অফিস কক্ষের দরজায় তালা লাগিয়ে তাকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন এবং অবরুদ্ধ তহসিলদারকে উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে ঘটনার হোতা আনোয়ার হোসেনকে আটক এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, মসজিদের নামে সরকারি পুকুরে মাছ চাষ করে ভোগদখল এবং দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল একটি স্বার্থান্বেসী মহল। এতে স্থানীয় তহসিলদার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ওই মহলটি ভূমি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে এবং হিন্দুদের ধর্মীয় ভক্তিপূর্ণ বটগাছের ভাউন্ডারীতে অগ্নিসংযোগ করে ধর্মীয় উস্কানী দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে স্থাপিত মসজিদের জায়গা ও দোকান ঘর রক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানী এবং হামলা ও ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com