১:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টে ২৯, ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে একটি চুরির ঘটনায় থানায় বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে মো. শওকত (৪২) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার বাম পায়ে চুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে দূর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে শওকতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও শওকতের পরিবার সূত্র জানায়, সম্প্রতি একই গ্রামের কাতার প্রবাসী বেলাল হোসেনের ঘরে শওকত ও তার বড় ভাই জব্বার কাজ করতে যান। তারা দুইজনই কাঠমিস্ত্রীর কাজ করেন । ৫-৬ দিন আগে বেলালের স্ত্রী প্রীতির কয়েকটি স্বর্ণালংকার পাওয়া যাচ্ছিলো না৷ এতে তিনি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ উভয়পক্ষকে বুধবার সন্ধ্যায় থানায় ডাকেন৷ উভয়পক্ষকে নিয়ে থানার ওসি ঘটনাটি নিয়ে বৈঠকে বসেন। এতে কাঠমিস্ত্রী দুই সহদরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। বৈঠক শেষে রাত ৮ টার দিকে দেওপাড়া গ্রামে শওকত শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ি ও তার বাড়ি একই গ্রামে কাছাকাছি এলাকায়৷ শ্বশুরের সঙ্গে দেখা করেই তিনি বাড়ি ফিরছিলেন৷ পথে দূর্বৃত্তরা তার গলা ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
শওকতের বড় ভাই আবদুল জব্বার বলেন, শওকত আমার সঙ্গে ওই বাড়িতে কাঠের কাজ করতে যায়। এরমধ্যে বেলালের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ করা হয় আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা নিরাপরাধ। থানায় বৈঠকেও আমরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বেলালের স্ত্রী নিজেই স্বর্ণালংকারগুলো লুকিয়ে রেখে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু না ফেরে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে হত্যাচেষ্টা করে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব দাস বলেন, রোগীর গলার ওপরের চামড়া কেটে জখম হয়েছে। মারাত্মক কোন ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। শওকতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলে কে বা কারা কি কারণে তাকে আঘাত করেছে তা জানা যাবে।