৯:৫০ অপরাহ্ণ, নভে ০৮, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি :
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে শুক্রবার ভোর থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি চলছে। এতে স্বাভাবিক জনজীবনে কিছুটা বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টির কারনে জেলা শহর সহ হাট-বাজারগুলোতে মানুষের সমাগম অন্যসময়ের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে। তবে নিত্য প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষজনের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার আশংকায় উপকূলীয় এ জেলায় দুর্যোগ মোকবেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮ টায় জেলা প্রশাসকের হলরুমে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা বিষয়ক উক্ত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।
এসময় পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সফিউজ্জামান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রেদোয়ান আরমান শাকিল সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের জেলা কার্যালয়ের প্রতিনিধিগণ এবং জেলা সিভিল সার্জন,রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত বিরাজ করছে এ জেলায়। আশংকাজনক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০টি সাইক্লোন শেল্টার ও গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিকেল টিম। এছাড়া মেঘনা নদীর তীরবর্তী জেলার ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের জরুরী সভা করে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ২৫০০ কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একই সাথে নদীতে সকল প্রকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নৌ-পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। দুর্যোগকালে উদ্ধারকাজের সহযোগী হিসেবে রেডক্রিসেন্ট,ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার টিম সহ সিপিপি’র সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দোশনা দেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় জনবসতিতে সচেতনতামূলক প্রচার সহ জরুরী বার্তা প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।