৯:৩৭ অপরাহ্ণ, জানু ০৮, ২০১৭
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের মাঠের দাপটের সঙ্গে গোলের সাযুজ্য নেই। আরো গোল চাই রব উঠেছে দলের ভেতর। তাই আজ কিরগিজস্তানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার ম্যাচ। সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই গোল প্রদর্শনীর ম্যাচ! ইরান ও সিঙ্গাপুরকে হারানোর পর বাংলাদেশ দলের মধ্যে অন্য রকম আত্মবিশ্বাস কাজ করছে। দুটি বড় দলকে হারানোর পর এই দলের মেয়েদের কাছে কিরগিজস্তান বড় কোনো হার্ডল নয়। গত দুই ম্যাচে ইরান ও চায়নিজ তাইপের কাছে তারা ১৬ গোল হজম করেছে। সুবাদে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নিয়ে অন্তত কোনো দুশ্চিন্তা থাকার কথা নয়। এর পরও বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের চোখে, ‘কোনো দল খাটো নয়। ৯০ মিনিট শেষে আমি দেখতে চাই আমার দল বড় ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ছে। এই ম্যাচে বেশি গোল করার নির্দেশনা থাকবে খেলোয়াড়দের ওপর।’ দুই ম্যাচ শেষে স্বাগতিকদের মনে হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত গোলের হিসাবটা মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। এ পর্যন্ত ‘সি’ গ্রুপে দুটি দলই অপরাজিত আছে—চায়নিজ তাইপে ও বাংলাদেশ। শক্তিতেও তারা প্রায় কাছাকাছি এবং এ দুটি দলের মধ্যেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই হবে। পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে তাদের গোলের হিসাব-নিকাশটা সামনে চলে আসবে। দুই ম্যাচ করে শেষ হওয়ার পর অবশ্য বাংলাদেশকে (+৮) পেছনে ফেলে এগিয়ে চায়নিজ তাইপে (+১১)। এটা খুব দুশ্চিন্তার নয়, কারণ স্বাগতিকরা প্রথম দুটি ম্যাচ খেলেছে তুলনামূলক শক্তিশালী দলের সঙ্গে। সেই তুলনায় আজ অনেক সহজ প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তান। স্বাগতিক কোচের মাথায় ঘুরছে গোল বাড়ানোর চিন্তা, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা যেভাবে গোল মিস করছি, তা করা যাবে না এই ম্যাচে। গোলমুখে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে আমার খেলোয়াড়দের গতির সঙ্গে মাথা কাজ করছে না সমান তালে।’ প্রথম ম্যাচে ইরানের জালে তিন গোল করেছে মার্জিয়া, মৌসুমী ও তহুরা। তবে অনেক সহজ গোল মিস করা অধিনায়ক কৃষ্ণা দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছে। আনু চিং মারমাও দুই গোল করেছে এই ম্যাচে। ম্যাচ দুটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একদম একতরফা খেলে বাংলাদেশ অন্তত ৩০টি ‘ফুল চান্স’ থেকে করেছে মাত্র ৮ গোল। এটাই কোচের আক্ষেপ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গত ম্যাচে এমন দাপট ছিল বাংলাদেশের যে গোলরক্ষকের কাছে বল গেছে মাত্র দুইবার, তা-ও পায়ে ঠেকিয়েছে। এত ভালো খেলে, এত এত দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেও কেন মাত্র ৫ গোল হবে, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না গোলাম রব্বানী ছোটন। এই ম্যাচের আগে স্বস্তি হলো, বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা গোল পেয়েছে। তবে সমস্যা হলো, কিরগিজস্তান চূড়ান্ত ডিফেন্সিভ হয়ে গেলে গোল বের করা কঠিন হয়ে যাবে। গোল গড় বাড়িয়ে নেওয়ার চিন্তা ভেস্তে যাবে। সেটা হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি মনে করেন বাংলাদেশ কোচ, ‘সিঙ্গাপুরও ডিফেন্সিভ খেলেছে, আমাদের খুব সমস্যা হয়নি। অনেক গোল করব ভেবে শুরু থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়লে খেলা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই অন্যান্য ম্যাচের মতো স্বাভাবিক খেলাটাই আমি চাই। আর প্রথম গোলটা তাড়াতাড়ি পেয়ে গেলে অনেক গোল হবে।’ ইরানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচে স্বাগতিকরা গোলের দেখা পেয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে। পরের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। আজ সেই উদ্বোধনী গোলের অপেক্ষা যত তাড়াতাড়ি ঘুচবে স্কোরলাইন বড় হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই বাড়বে।
৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১
৮:৩২ অপরাহ্ণ, জানু ০৯, ২০২১