১:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টো ২১, ২০১৭
বিশেষ প্রতিনিধি :
বৈরী আবহাওয়া শুরু হলে বিদ্যুৎ গেলে সহজে দেখা মেলেনা লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় রামগতি ও কমলনগর এলাকায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব এলাকার মানুষের। তবে সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েতে হয় অত্রাঞ্চলের বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের। উপর থেকে অনবরত পানি পড়লেও বাসার ভিতরে পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ এমনকি অজুও করতে পারছেনা তারা।
কমলনগর উপজেলা আবাসিক এলাকার চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকেন কামাল হোসেন তিনি জানান, প্রতিদিন ২ থেকে তিনবার বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে উক্ত ভবনে পানি উত্তোলন করতে হয় ৫ থেকে ৬ হাজার লিটার।একদিন বিদ্যুৎ না থাকলে কোন রকম চললেও পরের দিন হাড়ি-পাতিল, প্লেট-বাটি না ধুয়ে উপায় নেই। বাথরুমের প্রয়োজনীয় পানি না রেখেও নিস্তার নেই। তখন আশেপাশের পুকুর থেকে গৃহস্থালি কাজের অতি প্রয়োজনীয় পানি টেনে তিনতলা, চারতলা ভবনে পানি উঠানোর কষ্ট কেউ দেখেনা, বলেও বুঝানো যাবেনা।
হাজিরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোকপির ব্যবসা করেন। বৈরী আবহাওয়া শুরু হলে তার ব্যবসা পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।বৈরী আবহাওয়া মৌসুমে প্রায় এমনটা হয়ে থাকে, এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি।
একটু বাতাস হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী কাজী মাকছুদ জানান, সারা দেশে বেহাল বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন। চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে পুরো বিতরণ ব্যবস্থা। সঞ্চালন লাইনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সাধারণ কালবৈশাখী ঝড়েও দুমড়ে-মুচড়ে পড়ছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন গ্রামাঞ্চলে বাগান,রাস্তার পাশ দিয়ে গাছের পাকপোকর দিয়ে খুঁটি গাড়িয়ে উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। একটু বাতাস হলেই গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে শর্টসার্কিট হয়। ফলে সার্কিট ব্রোকার ট্রিপ করে অথবা ফিউজ কেটে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আপনাআপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় লাইন থেকে গাছের ডালপালা সরিয়ে লাইন পরিষ্কার না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা যায়না। যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে ওভারহেড লাইন থাকবে ততদিন পর্যন্ত এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। যদিও আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণ ব্যয়বহুল তবু এমন দুর্যোগ প্রবণ দেশে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩