• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • শুক্রবার | ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | ভোর ৫:১৬
  • আর্কাইভ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুদের হয়রানীমূলক মামলা দায়ের

৫:৫৩ অপরাহ্ণ, নভে ২৪, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নে আলীরাজা পাটওয়ারী ওয়াকফ্ এস্টেটের (ইসি নং-১৪১৫১) সম্পত্তি বিষয়ক বিতর্ক নিরসনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের নির্দেশে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় সাইনবোর্ড ও সীমানা খুঁটি স্থাপন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অজুহাতে উক্ত ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল বঞ্চিতরা ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে হয়রানি করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অভিযোগ সৃজন করে বলে জানা যায়। এর জের ধরে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল সহ মোট ০৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, লক্ষ্মীপুর আদালতে ফারজানা ইসলাম মালিয়া নামের স্থানীয় এক নারী ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ৬১৮/১৭। মামলার বাদির মা নুর জাহান এর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সৃজনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে।
৩ নং দালালবাজার ইউপি’র ভুক্তভোগী উক্ত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের নির্দেশে ২১ নভেম্বর আলীরাজা পাটওয়ারী ওয়াকফ্ এস্টেটের (ইসি নং-১৪১৫১) সাইনবোর্ড ও সীমানা খুঁটি স্থাপন করেন তিনি।
সাইনবোর্ড ও সীমানা খুঁটি স্থাপনের পরে ওয়াকফ্ এস্টেটের সাবেক মোতায়াল্লি মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে আশ্রাফুর রহমান বাবুল, আব্দুল মতিন এর ছেলে জাফর আহম্মদ পলাশ, সোহাগ, নুর জাহান আক্তার ও তার মেয়ে ফাহমিদা মালিহা তাকে অগথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং মিথ্যা মামলা হামলার হুমকী দেয়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ০৫জন কে বিবাদী করে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-১০৩২। তিনি আরো বলেন নুর জাহান নামে এক মহিলা তার মেয়ে ফারজানা ইসলাম মালিয়া কে দিয়ে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, লক্ষ্মীপুর আদালতে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দায়ের করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেন।
সদর উপজেলা ৩নং দালাল বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান ডেপুটি কমিশানার লক্ষ্মীপুরের স্বারক ০০.০০.৫১০০.০১৩.৩৫.০২ (০৪).১৭-১১৯ তারিখ ০২.০৩.২০১৭ খ্রি: এবং এ কার্যালয়ের স্বারক নং ০৫.৪২.৫১০০.০৫৫.১৫.০১৫.১৬-৪০৯. তারিখ ২৯.০৩.২০১৭ খ্রি: এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বারক ০৫.৪২.৫১০০.০৫৫.১৫.০১৫.১৬-১২০৪ । ১৬-১১-২০১৭ খ্রি: নির্দেশ ক্রমে ওয়াকফ্ অধ্যাদেশের ৩২ (৫) ধারা অনুয়ায়ী আলী রাজা পাটওয়ারী ওয়াকফ্ এস্টেট (ইসি নং ১৪১৫১) এর দায়িত্ব উক্ত আইনের ৬৪ (১) ধারা অনুযায়ী ওয়াকফ্ এস্টেটের তালিকা ভুক্ত সম্পত্তি ওয়াকফ্ প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির মোতায়াল্লির নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে।
উক্ত স্মারক মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নির্দেশে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সহ, গ্রাম পুলিশ নিয়ে আলী রাজা পাটওয়ারী ওয়াকফ্ এস্টেট সাইনবোর্ড ও সীমানা খুঁটি স্থাপন করেন।
এসময় ভূমি দস্যু দলের সদস্য আশ্রাফুর রহমান বাবুল (৪৫), সোহাগ(৩৮), আবু জাফর মোহাম্মদ পলাশ (৪৫) সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে মৃত নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মেয়ে নুর জাহান আক্তার পিনু ও তার মেয়ে ফারজান আক্তার মালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করে। চেয়ারম্যান বিব্রতবোধ করে নিরাপত্তার আশংকায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এর পরে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে নুর জাহান আক্তার পিনু ও তার মেয়ে ফারজান আক্তার মালিয়া, আব্দুরবের স্ত্রী ফয়জুন্নেছা, মহিউদ্দিনের স্ত্রী জেসমীন আক্তার, আশ্রাফুর রহমান বাবুলের স্ত্রী জেসমীন আক্তার ওয়াকফ্ এস্টেটের সাইন বোর্ড ভাংচুর ও সীমানা খুঁটি তুলে নিয়ে যায় বলে জানান মোতায়াল্লি কমিটির সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে জানান, উক্ত ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে জবরদখল করে আসছে কতিপয় স্থানীয় ভুমিদস্যুরা। অভিযোগের আলোকে যাচাই-বাছাই করে ওই ওয়াক্ফ এস্টেটের জমির নির্ধারিত সীমানায় পিলার ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিতে স্থানীয় ইউপি চেযারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করি। ইউপি চেয়ারম্যান নির্দেশিত কাজটি যথাযথভাবে পালন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জবরদখলকারীরা তাঁকে হেনস্তা করতে তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগে মামলা দায়ের করে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com