৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসে ২৯, ২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার : শরীফপুর মীর হাছান আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিএনপি নেতা আনোয়ার মোর্শেদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে তার স্বজনদের দিয়ে ফেইসবুক আইডিতে সাংবাদিকের নামে কুৎসা রটনা , সন্ত্রাসীদের দিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকী সহ বিভিন্ন অপতৎপরতার খবর জানা গেছে। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের আশংকাজনক বদলী ঠেকাতে বিএনপির সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টা সহ বিভিন্ন অপতৎপরতার মধ্য দিয়ে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন । একই বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর আদায়ের অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছেন বলেও জানা যায়।
জানা যায়, স্থানীয় অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পত্রিকায় উক্ত শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয় উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় উক্ত বিদ্যালয়কে তিনি বিএনপির কার্যালয়ে পরিণত করা ছাড়াও একই দলের সন্ত্রাসীদের রাতের আত্মগোপনে স্কুলকে ব্যাবহার করতে দেয়ার সুবিধা প্রদান সহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ হয় সংবাদে। এর প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তার সংযুক্তি বদলীর সুপারিশ পাঠানো হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ পর্যায়ে নিজের আশংকাজনক বদলী ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এ লক্ষ্যে অফিসে দেনদরবার ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তার স্বজনদের দিয়ে ফেইসবুক আইডিতে সাংবাদিকের নামে কুৎসা রটনা , সন্ত্রাসীদের দিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকী সহ বিভিন্ন অপতৎপরতায় তার সংশ্লিষ্টতার খবর জানা গেছে। ফেইসবুক আইডিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার ঘটনায় সামাজিক ভাবে বিতর্কের ঝড় উঠলে তা নিরসনে উক্ত শিক্ষকের পক্ষে কতিপয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে সাফাই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাইফ উদ্দিন খালেদের আহবানে ২৩ সেপ্টে¤^র শুক্রবার উক্ত স্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত বৈঠকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন বলেও জানা যায়। বৈঠকে ফেইসবুকে কুৎসা রটানো বন্ধ করা এবং সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার আহবান জানানোর মর্মে তারা উপস্থিত বিএনপি সমর্থকদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করেন। তবে উক্ত স্বাক্ষর সম্বলিত কপির সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে সাফাই লিখে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসে প্রেরণের সিদ্ধান্তও নেয় বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। এসব ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক ও সাধারণ বাসিন্দাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা উক্ত শিক্ষকের দ্রুত অপসারন সহ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবি জানান। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, উক্ত শিক্ষক ব্যাক্তিগতভাবে দুর্নীতিপরায়ন। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আনোয়ার মোর্শেদ রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত। তা ওই শিক্ষকের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে পরিলক্ষিত হয়। জানার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ মুঠোফোনে স্বিকার করে জানান, শিক্ষক আনোয়ার মোর্শেদ তাঁর দলের (বিএনপির) দায়িত্বশীল নেতা। তিনি আরও জানান, এদিন ফেসবুক আইডিতে লেখালেখি বন্ধের বিষয়ে বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তিনি ফেসবুকে কুৎসা রটনা সংক্রান্ত ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন বলে জানান। সেই সাথে ওইসব ফেসবুক আইডির এ্যাডমিনদের এসব বন্ধের নির্দেশ দেন বলে তিনি জানান। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এসব কিছুর অবসানে তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।