৬:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টে ১৬, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মানবতা বিরোধী আপরাধে অভিযুক্ত হামর্দদ ল্যাবরেটরীজ ওয়াক্ফ বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ হারুন ভূঁইয়ার পক্ষে সোমবার দুপুরে মানববন্ধনের আয়োজন করে তার কয়েকজন অনুসারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করলেও তাতে সাঁড়া দেয়নি এলাকাবাসী।
‘অভিযুক্ত রাজাকার’ ইউসুফ হারুন ভূঁইয়ার অনুসারী কয়েকেজন এলাকাবাসীর সাথে উপস্থিত ছিলেন আস্থাভাজন কয়েকজন মুত্তিযোদ্ধা। সেখানে ইউসুফ হারুনের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ মাহমুদ বাকী, মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদসহ কয়েক অনুসারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চৌপল্লী বাজারের উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এলাকাবাসীকে উপস্থিত হতে মাইকিং করা হয়। কিন্তু এতে সাঁড়া দেয়নি এলাকার লোকজন।
তবে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলাকায় উচ্চস্বরে মাইকিং করে ইউসুফ হারুনের অনুসারীরা। এতে ইউপি কার্যালয়ের পেছেনে থাকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলেও এলাকার সাধারণ লোক এতে অংশগ্রহণ করেনি। স্থানীয়ভাবে যারা ইউসুফ হারুনের প্রতিষ্ঠান হামর্দদ থেকে সুবিধা নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত এ গুটি কয়েক লোক তার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আর্থিক সুবিধা নিয়ে কয়েকজন লোক এতে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজনকে মন্তব্য করতে শোনা গেছে, ‘ইউসুফ হারুনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী আপরাধে অভিযোগ ওঠায় তা এখন তদন্তাধীন। এ সময় উক্ত অভিযোগকে মিথ্যা-ভিত্তিহীন দাবি করা মানে তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটানো। তদন্ত কর্মকর্তরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রমান করবেন ইউসুফ হরুন ৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী নাকি নির্দোষ।’
প্রসঙ্গত, রায়পুর উপজেলা কমান্ডারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা হামর্দদের এমডি ইউসুফ হারুনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলে। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি ডাইরেক্টর মো. হেলাল উদ্দিন রাজাকারদের বিরুদ্ধে তদন্তে আসেন। তিনি রায়পুরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ‘রাজাকার’ ইউসুফ হারুনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেন। এসময় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ প্রদান করা হয়।
এদিকে, গত শনিবার রাতে ‘অভিযুক্ত রাজাকার’ ইউসুফ হারুনকে নির্দোষ দাবি করে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩