৬:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টো ০৭, ২০১৯
সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময়ে মা ইলিশেরা ৮০ শতাংশ ডিম পাড়ে; আর সেটা মূলত মিঠাপানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ ২২ দিন মাঠপর্যায়ে অভিযানে সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলায় অতিরিক্ত ৪৭ জন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযান সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি জাতীয় মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ইলিশের প্রজননকালে অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
৩৬টি জেলার সব নদ-নদীতে দিনে ও রাতে অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে, যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে এর অবদান শতকরা ১ ভাগ। বলেন, সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদফতর দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন প্রদান করেছে। ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বশীর্ষে। পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক ইলিশ উৎপাদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিত।
প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর ইতোমধ্যে মা ইলিশধরা নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৫ জেলার ১৪৭ উপজেলায় চার লাখ আট হাজার ৩২৯টি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে আট হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ এবং জাটকা ধরা নিষিদ্ধকালীন জাটকা ও ইলিশসমৃদ্ধ এলাকার জেলেদের জন্য প্রতিবছর পরিবার প্রতি ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, জাটকাধরা নিষিদ্ধকালীন আট মাস দেশের ১৭ জেলার ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি জেলে পরিবারে ৪০ কেজি হারে চার মাসের জন্য প্রায় ৩৯ হাজার ৭৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
৫:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ২৭, ২০২৩
২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রু ২৪, ২০২৩
৯:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ২১, ২০২৩