৯:১৬ অপরাহ্ণ, মে ০৮, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্ত্রী শারমিনের মৃতদেহ রেখে সটকে পড়েছেন স্বামী মো. সুমন। রোববার (৮ মে) দুপুরে পৌনে ১ টার দিকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে মৃতদেহ নিয়ে আসেন তিনি। এরপর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মৃত শারমিনের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী সুমন এবং শাশুড়ী খুকু মনি পারিবারিক কলহের জেরে শারমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। সে চার মাসের গর্ভবতী বলে জানায় পরিবারের লোকজন।
তবে পুলিশ বলছে, ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শারমিন ওরফে শরমি (২৬) সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন চর মনসা গ্রামের মো. তোফায়েলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের সুটকির সাঁকো বাজার সংলগ্ন আমরি এলাকায়।
শারমিনের ভাই কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. হেলাল বলেন, দুপুরে সাড়ে ১২ টার দিকে আমার ভগ্নিপতি সুমন একটি অটোরিকশায় করে শারমিনকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। এ সময় সে আমাকে জানায় আমার বোন অসুস্থ হয়ে গেছে, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আমি হাসপাতালে আসার আগেই আমার বোন শারমিনকে রেখে সুমন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়৷ হাসপাতালে এসে আমি বোনকে মৃত দেখতে পাই। আমার বোন আমার কলিজা ছিল, আমার হৃদপিণ্ড ছিল। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
হেলাল বলেন, শারমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে জানিয়েছে- আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু আমার বোন গলায় ফাঁস দিতে পারে না, তাকে শ্বাশুড়ি এবং স্বামী মিলে হত্যা করেছে। এ তাদের বিচার চাই।
তিনি জানান, প্রায় ৯ বছর আগে ওমান প্রবাসী সুমনের সাথে তার ছোট বোন শরমির বিয়ে হয়। তাদের ঘরে উম্মে তায়বা নামে সাত বছরের এক মেয়ে রয়েছে। শরমিনের শ্বশুরের মৃত্যুর পর শাশুড়ী খুকু মনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে এ বাড়িতেই থাকতো। শারমিনের স্বামী সুমন ওমানে থাকায় বাড়িতে শাশুড়ী খুকুমনি সব সময় তার বোনের সাথে ঝগড়া করতো। প্রায় তিনমাস আগে সুমন ছুটিতে বাড়িতে আসে। সেও স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ নিয়ে ঝগড়াঝাটি করতো। এর জের ধরে বোনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩