• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার | ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:২২
  • আর্কাইভ

শ্রমিকলীগ নেতার চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি সাবেক শ্রমিকলীগ নেতার, থানায় জিডি

৫:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ২৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হারুনুর রশিদের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম লেদু মাল নামে সাবেক শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি এ হুমকি দিয়েছেন। দুইজনের কথোপকথনের একটি রেকর্ড রয়েছে। ফোনের অপরপ্রান্তের থাকা ব্যক্তি হারুনের চোখ উপড়ে ফেলার কথা জানান।

কথোপকথনে মধ্যে হারুনের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘কল রেকর্ড করছ কর। টানি তোর চোখ দুটা বার করি হালাইয়াম। আমারে চিনছ?’

হারুন জানান, সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা লেদু মাল তাকে এ হুমকি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় হুমকিদাতার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হারুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হারুন। (ডায়েরী নং-২০২৯২, তাং-২৪.০২.২০২৩)।

অভিযুক্ত লেদু মাল রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা ও রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল জামাল অপু মালের বাবা। তিনি উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

অভিযোগকারী হারুন রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার টাউনহল মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী।

অভিযোগ সূত্র জানায়, হারুন রামগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেন। পদ পেতে তিনি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযাগ রক্ষা করছেন। এছাড়া জেলা শ্রমিকলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করে আসছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। বিষয়টি রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি লেদু মাল জানতে পেরে তার উপর ক্ষিপ্ত হন। এতে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি মোবাইফোনে কল করে হারুনকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। কথোপকথনের এক পর্যায়ে হারুনের চোখ উপঠে ফেলার হুমকি এবং বাড়িতে আসলে দেখে নেওয়ার হুনকি দেন। এর পর থেকে হারুণ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

ভূক্তভোগী হারুনুর রশিদ বলেন, আমি উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রার্থী। বিষয়টি লেদু মাল মেনে নিতে পারছে না। এতে তিনি আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়েছে। মোবাইলফোনে কল করে তিনি নিজেই আমার বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এতে আমি আতঙ্কগ্রস্ত।

অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম লেদু মাল বলেন, হারুনকে কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে দেখিনি। তার আর আমার ভোট কেন্দ্র একই, কখনো তাকে ভোট দিতে আসতে দেখিনি। ঢাকায় থেকে কিভাবে যেন একটি পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। হারুন আওয়ামী লীগকে বিক্রি করে খেতে এসেছে। তাকে কোন হুমকি দিইনি।

জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, হারুন আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। একটি কল রেকর্ডিংও পাঠিয়েছে। ঘটনাটি সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, হারুন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। থানা থেকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com