• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • রবিবার | ৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ২:৪৯
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে ৩০ গ্রাম প্লাবিত, ভেসে গেছে মাছের ঘের

৪:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টো ২১, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি : নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এবং কমলনগরের কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। মাছ চাষিদের প্রায় শতাধিক মাছের ঘের জোয়ারে ভেসে গেছে। ডুবে গেছে ফসলের মাঠ ও সবজি খেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ হাজার পরিবার।

গত ১৯ অক্টোবর রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, অকাল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কমলনগর ও রামগতির প্রায় ৬ শতাধিক কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও উপড়ে পড়েছে গাছপালা।

এদিকে বর্ষণে মেঘনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ পড়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে। ভাঙনের শিকার হয়েছে অন্তত ৫০টি পরিবার।

অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ইউনিয়নগুলো হলো-রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বড়খেরী, চর গাজী।

কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, পাটারিরহাট, চর মার্টিন, চর লরেন্স, হাজিরহাট, চর কাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের প্রায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ জানান, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে রামগতির উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বেড় খেরী ও চর গাজী ইউনিয়নের প্রায় ৬শ’ কাঁচা ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বসত ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে সুরাইয়া বেগম নামের এক নারী আহত হয়েছেন।’

চর আলগী ও রড়খেরী ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি।

কমলনগরে চর ফলকন ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ জানান, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  একই অবস্থায় সাহেবেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেও।

কালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ ও পাটারিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেঘনা নদীর ভাঙনও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত দুই দিনে উপকূলীয় এলাকার ৫০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে বলে জানান তারা।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com