• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • শুক্রবার | ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:৩৭
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে সাবেক সিভিল সার্জন’র কারাদণ্ডের রহস্য উদঘাটিত

৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসে ০৫, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটকের পর ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে সাজা দেয়ার ২৪ ঘন্টার আগেই জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আগের দিন সোমবার (৪ঠা ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ দন্ড দেন।

এর আগে কাকলী স্কুলের সামনে ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে কোন বক্তব্য না দেয়ায় প্রকৃত ঘটনা তখন জানা যায়নি। ঘটনার সময় সেখানে কোন গণমাধ্যম কর্মীও ছিলোনা। এ নিয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স, অনলাইন পোর্টালে ও ফেস বুকে স্কুলে প্রবেশ করা নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মর্মে ছড়িয়ে পড়ে। তবে জেলা জুড়ে কাল সারাদিন ছিল সরগরম। সবার প্রায় একই মন্তব্য সামান্য ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসন একজন সম্মানিত ডাক্তার ( বিসিএস ক্যাডার)কে জেলে দিতে পারে ? আসলে যদিও ঘটনাটি সামান্য নয়, প্রকৃত ঘটনা অসামান্য ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, যদি প্রকৃত অপরাধের বিচার নিজেরা না করে থানায় অথবা জুডিশিয়াল কোর্টে নিয়মিত মামলা করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হতো তাহলে শাস্তি আরো বেশী হলেও বিতর্ক হতোনা।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে এ ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের এখনো কিছু জানানো হয়নি।

Bortoman Laxmipur নামের একটি ফেস বুক আইডি থেকে উক্ত ঘটনার একটা সংবাদ আপলোড হয়েছে সোমবার ( ঘটনার দিন) দুপুর ১:২৯ মিনিটে, সেখানে  Iqbal Hossain Shohag নামের আইডি থেকে নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একটা কমেন্ট করে। যাহা হুবহু তুলে ধরা হলো

” ডা: সাহেবের ছেলে গেট দিয়া বাহির হচ্চে দোরাইয়া ডিছি সাহেব বলছে আছতে বাহির হও এত দোরাও কেনও। ডা: সাহেব বিষয় টা নিয়া ডিছি সাহেব কে বল্ল আপনার সমস্যা কি। কেউ কাউকে ছিনতোনা এক কথা দুই কথা হতে না হতে ডা: সাহেব ডিছি সাহেবের গালে তাপ্পর মারছে । ডাঃ কে পাশের দোকান দার কাজল ভাই বল্ল ভাই ওনি ডিছি কার গায়ে হাত দিছেন। ডাঃ পাত্তা এ দিলো না আর ও বেশি করলো। ডিছি সাহেব বল্ল আমাকে চিনেন আমি কে। তার পর ডিছি সাহেব কে নিয়া হল রুমে বসানো হলো। বেশি খারাপ লাগলো   ডাঃ এর বড় ছেলে ডিছি কে বলে এই বেটা চেয়ার এ বসচোছ কেন লাত্তি মেরে পেলে দিব অনেক গাল মন্দ করছে।”

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com