৮:৫২ অপরাহ্ণ, জানু ১১, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল করে দোকানঘর নির্মাণ করা হলেও দখলদারদের বিষয়ে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উল্টো উপরের তদবির থাকার দোহাই দিয়ে ‘চুপ’ রয়েছে সংস্থাটি। যদিও সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু দখলদার প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
অন্যদিকে প্রভাবশালী দখলদার দাম্ভিকতার সহিত বলছেন, ‘কারো কোন ক্ষতি হলে স্থাপনা ভেঙে দেন।’ আর সওজ’র এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘উপর থেকে রিকুয়েষ্ট করা হয়েছে- বিষয়টি সু-নজরে দেখতে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে আনোয়ারা চ্যারিটি হসপিটাল সংলগ্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন। গত কয়েকদিন থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে টানা কাজ করে সেখানে ৭টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন তিনি। এরই মধ্যে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তোফাজ্জল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর লোক (!) থাকায় কর্তৃপক্ষ অনেকটা অসহায়। ফলে নির্বিগ্নে দখল করে ফেলেছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারী সম্পত্তি।
জানতে চাইলে দখলদার তোফাজ্জল হোসেন প্রথমে জমিটি লীজ নিয়ে ঘর তুলেছেন বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে তিনি আবার বলেন, ‘আমি লীজের জন্য আবেদন করেছি, সেটি প্রক্রিয়াধীন। জমিটি আমি লীজ পাবো। ১০ বছরের জন্য লীজ বাবত অর্ধকোটি টাকার বেশি খরচ হবে।’
লীজের আগে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার স্যানেটারী এন্ড টাইলস ব্যবসার প্রয়োজনে আমি দোকানঘর নির্মাণ করেছি। আপনাদের বা কারো যদি কোন সমস্যা হয়- তাহলে ভাঙ্গানোর ব্যবস্থা নেন। এতে আমার কোন আপত্তি নেই। এমনিতেই মহাসড়ক ৪ লেন হলে স্থাপনাটি ভাঙা পড়বে।
এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন উপ-প্রকৌশলী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়া আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান, সড়কের জমি লীজের জন্য তোফাজ্জল নামে একজন আবেদন করেছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
লীজের আবেদন করে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুক্র-শনিবার অফিস বন্ধ থাকার সুযোগে তারা কাজ শুরু করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের নিষেধ করেছি। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায় থেকে আমাদেরকে সুপারিশ করিয়েছে। তারপরেও আমরা বলে দিয়েছি- যেকোন সময় স্থাপনা ভেঙে জায়গাটি পরিষ্কার করা হবে। আর এমনিতেই চার লেনের কাজ শুরু হলে সড়কের প্রয়োজনে সব স্থাপনা ভেঙে জমি খালি করা হবে।’
প্রতিবেদক: কালের প্রবাহ/এমএনইউ
৯:২০ অপরাহ্ণ, জানু ১১, ২০২১
৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জানু ১০, ২০২১