৪:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টে ৩০, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে কারাগারে সহকর্মীর মারধরের ঘটনার বিচার চাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন জান্নাতুল আঁখি নামের এক কারারক্ষী নারী। সে লক্ষ্মীপুর কারাগারের কারারক্ষী ও একই কারাগারের কারারক্ষী মহিমের স্ত্রী। কারাগারের জেলার মোহাম্মদ শাহ আলমের বিরুদ্ধে আঁখি ও তার স্বামী মো. মহিমকে চাকররীচ্যুতির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আঁখি সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এসব নিয়ে জেলা কারাগারে চলছে উত্তেজনা ও চরম ক্ষোভ ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আঁখি ও তার স্বামী মহিম তারা কারা কোয়াটারেই থাকেন। সম্প্রতি তাদের বাসায় একজন মেহমান আসেন। অন্য কারারক্ষী ফারজানা ওই মেহমানকে হাজতির আত্মীয় ভেবে তাদের বাসায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তল্লাসি চালায়। এসময় আঁখি ও ফারজানার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আঁখির ওপর চড়া হয়ে উঠে এবং মারধর করে ফারজানা। এতে বাঁধা দিলে মেহমানকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে জেলার এবং জেল সুপারের কাছে অভিযোগ করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। পরে কারা উপ-মহা পরিদর্শককে বিষয়টি জানালে জেলার শাহ আলম ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন আঁখি ও তার স্বামী মহিমের ওপর। একপর্যাযে তাদেরকে অন্যত্র বদলি ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয়।
কারাগারের কয়েকজন রক্ষীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জান্নাতুল আঁখি ও ফারজানার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে যোগদানের পর থেকে জেলার কারা রক্ষীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। নানা অভিযোগের কথা বলে কারারক্ষীদের চাপে রাখেন তিনি। কারা ক্যান্টিনে সকল পণ্যসামগ্রীর তিনগুণ দাম নেওয়া হয় বন্দিদের কাছ থেকে। এনিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে থাকেন।
অভিযোগকারী জান্নাতুল আঁখি বলেন, ফারজানা আমার বাসায় এসে আমাকে ও আমার মেহমানকে মারধর করে। বিষয়টি কারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে জেলার আমাদের ওপর ক্ষীপ্ত হয়। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট এ এঘটনার সুবিচার দাবি করছি।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর কারাগারের জেলার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারারক্ষী জান্নাতুল আঁখির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি জেল সুপার ফণী ভূষণ দেবনাথ।