৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসে ১৮, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিনিধি :
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স দেওয়া দেড়যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বেড়েছে অবৈধ বিনিময়ের হার। আর এতে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ হারাচ্ছে সরকার।
লক্ষ্মীপুর সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সাহেব উল্যার বিরুদ্ধে ব্যাংকে বসে মানি এক্সচেঞ্জ অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের ভিতরে বাহিরে শতশত লোক সাহেব উল্যার বিদেশি মুদ্রা ক্রয়বিক্রয়ের কথা জানলেও শুধু জানেননা ব্যাংকের ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান !
তবে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।ফলে দিনদিন বেড়েই চলছে তাঁর ব্যবসার পরিধি। সাহেব উল্যা লক্ষ্মীপুর শাখার আইটি অফিসার।
সোমবার ১৭ ডিসেম্বর দুপুরের পর সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সাহেব উল্যার নিকট ৫শত রিয়েলর ২টা নোট ১ হাজার সৌদি রিয়েল ২১ হাজার ৫শত টাকা বিক্রি করেন মো: তরুন নামের একজন যুবক।
পরে তরুণ যুবকটি বাহিরে এসে তাঁর পরিচিত অন্য একজনকে বিষয়টি জানালে রিয়েলের দাম আরো বেশি আছে বলে জানান। পরে সে পুনরায় ব্যাংকে গিয়ে তাঁর টাকা ফেরত নিয়ে এসে অন্য যায়গা ২২ হাজার ২শত টাকা বিক্রি করেন মর্মে জানান।
জানা যায়,এর আগে ২০০৭ সালে একই অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করে । পরে কর্তৃপক্ষ তাকে ভোলা জেলায় বদলী করেন। ৬ মাস পরে ভবানী গঞ্জ শাখায় বদলী হয়ে এসে কয়েক মাস পরে বদলি হয়ে রাখালিয়া শাখা যোগদান করেন। অবশেষে ২০১০ সালে পুনরায় সে লক্ষ্মীপুর শাখা যোগদান করে পূর্বের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
জানতে চাইলে সাবেব উল্যা ৫শত সৌদি রিয়েলের ২টা নোট ১ হাজার রিয়েল ২১ হাজার ৫ শত টাকা ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন, তবে পরে আবার ফেরত নেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন।
লক্ষ্মীপুর শাখা ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জানান,তিনি ফোনে এমন কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলেন। তবে সাহেব উল্যা মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা এ বিষয়ে তিনি জানেননা বলেও জানান।