• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:০১
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে ফেরী বিকল থাকায় পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক পণ্যবাহী যান, দুর্ভোগে চালকরা

৭:৩৯ অপরাহ্ণ, জুলা ২৫, ২০১৯

লক্ষ্মীপুরের মজুচেীধুরীর হাট ফেরী ঘাটে বিকল হয়ে পড়ে আছে এ দুটি ফেরী। ছবি- কালের প্রবাহ

মো. নিজাম উদ্দিন : লক্ষ্মীপুরের মজুচেীধুরীর হাট ফেরীঘাটে দুটি ফেরী বিকল থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালকরা। দিনের পর দিন মালবাহী ট্রাক নিয়ে ফেরী ঘাটে বসে থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে অসন্তোষ বিরাজ করছে চালকদের মধ্যে।

লক্ষ্মীপুর বিআইউব্লিউটিএ সূত্রে জানায়, মজুচৌরীরহাট-ভোলা নৌ-রুটে প্রতিদিন কৃষাণী, কলমিলতা, কাস্তুরী ও কনকচাপা নামে ৪টি ফেরী চলাচল করতো। প্রতিটি ফেরী দৈনিক দু’বার যাতায়াত করে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন পারাপার করে। বর্তমানে ইঞ্জিন বিকল থাকায় কৃষাণী ও কলমিলতা বন্ধ হয়ে আছে। প্রতিটি ফেরীতে ১০-১২ টি যানবাহন পারাপার করা যেত বলে জানায় সূত্রটি।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট থেকে ভোলার ইলিশা ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৬ কি. মি. নদীপথ ফেরী দিয়ে পাড়ি দিয়ে ঢাকা এবং চট্রগ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী যান দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল জেলাগুলোতে যাতায়াত করে। চালকরা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য এ রুটটি সংক্ষিপ্ত হওয়ায় এ ঘাট দিয়ে যানবাহন বেশি পারাপার হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট ফেরীঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষাণী ও কলমিলতা নামে দুইটি ফেরী বিকল হয়ে ঘাটে নোঙর অবস্থায় পড়ে আছে। আর গত কয়েকদিন থেকে এ দুটি ফেরী বন্ধ থাকায় ফেরী ঘাট এবং লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট আঞ্চলিক সড়কের পাশে প্রায় ১ কি.মি. এলাকাজুড়ে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পাকিং করে রাখা হয়েছে।

ফেরী কৃষাণীর মাষ্টার লিয়াকত আলী জানান, গেল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ভোলার ইলিশাঘাটে ফেরীর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ইঞ্জিন দিয়ে অতিরিক্ত জোয়ারে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে না পারায় ফেরীটি মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে এটি মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। মেরামত হলেই চালু করার কথা জানান তিনি।

অন্যদিকে, ফেরী কলমিলতার মাষ্টার সালাউদ্দিন বলেন, ‘সোমবার (২২ জুলাই) ভোররাতে ফেরীর একটি যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে যায়। ঢাকা থেকে নতুন যন্ত্রাংশ আসলে ফেরীটি মেরামত করা সম্ভব হবে।’ তবে কবে নাগাদ মেরামত সম্ভব হবে- সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

এদিকে ফেরী বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ ও লোকসানের মধ্যে পড়েছে বিভিন্ন ধরণের পণ্যবাহী যানবাহনের মালিক, চালক ও তাদের সহযোগীরা।

মো. ইউনুছ নামের এক ট্রাক চালক জানান, চট্রগ্রাম থেকে পাওয়ার প্লান্টের মালবাহী একটি ট্রাক নিয়ে গেল ১৯ জুলাই তিনি মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাটে এসেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ তিনি এ ঘাটে পড়ে আছেন। এতে তার বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান হচ্ছে। ঠিক কবে তিনি মলবাহী ট্রাক নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন- সেটি এখনও পুরোপুরি অনিশ্চিত।

গেল ২০ জুলাই চালক মো. ছাব্বির হোসেন এ ঘাটে এসেছেন রড বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডু থেকে। ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে ট্রাকটি নিয়ে কুয়াকাটায় যাওয়ার কথা তার। কিন্তু ফেরী বিকল থাকায় গত ৫ দিন তিনি সহকারীকে সাথে করে ঘাটে অপেক্ষা করছেন। এরইমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে তাদের। এতে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। তাদের মতো শতাধিক গাড়ির চালক ও গাড়ির সহযোগী ফেরী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন।

ট্রাক চালক নুর আলম, হাবিবুর রহমান ও নুর ইসলাম জানান, খাওয়া এবং ঘুমানো নিয়ে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত ফেরী মেরামতের দাবি জানান তারা।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com