• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • রবিবার | ৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৩:২৭
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘ইএফটি’ ফরম পূরণে অবৈধ অর্থ আদায়

১:১৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রু ০৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি অনলাইনে দাখিল এবং স্ব-স্ব ব্যাংক হিসেবে ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মধ্যমে পরিশোধের কর্ম পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে অনলাইনে ডাটাবেজ তৈরী করতে হয়। প্রত্যেক উপজেলায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে ক্লাষ্টারভিত্তিক শিক্ষকদের চাকরী সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করতে হয়।

কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাষ্টার ডাটা এন্টি ইউজারদের জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। ফলে কোন অর্থ ছাড়াই ফ্রি ভাবে ‘ইএফটি’ রেজিষ্ট্রেশনের নিয়ম হলেও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শিক্ষকরা করতে হয়েছে অর্থের বিনিময়ে।

ইএফটি বাবদ এ উপজেলার প্রত্যেক শিক্ষকদের খচর হয়েছে ৩শ’ টাকা করে। যদিও অনলাইনে তথ্য পূরণে যেকোন ধরণের অর্থ লেনদেন ছিলো সম্পূর্ণ অবৈধ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারী প্রাথমিক বিবদ্যালয়ের শিক্ষকগণের বেতনভাতা (ইএফটি) মাধ্যমে প্রদানের জন্য iBAS++ এ এন্টির কাজে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক সমিতির নেতা পরিচয়ে তথ্য এন্টির কাজে অর্থ আদায় করছে। এতে শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হচ্ছে জানিয়ে তথ্য এন্টির কাজে শিক্ষদের কাছ থেকে কোন ধরণের অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭১৬ জন শিক্ষার্থী কর্মরত আছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক নেতাদের যোগসাজশে ক্লাষ্টাররা ‘ইএফটি’ ফরম পূরণ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষকদের কাছ ৩শ’ টাকা করে আদায় করেছে। সবমিলিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে মোট ৫ লাখ ১৪ হাজার ৮শ’ টাকা আদায় করা হয়েছে। অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়া এ অর্থ উপজেলা শিক্ষা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক নেতা এবং ক্লাষ্টারদের পকেটে ঢুকেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা বলেন, ‘ইএফটি’ ফরম পূরণের নির্দেশনা আসার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদের ডেকে মিটিং করে প্রত্যেক ক্লাস্টারকে শিক্ষক প্রতি তিনশ’ টাকা করে দিতে বলেন। সে মোতাবেক শিক্ষকরা অর্থ দিয়ে ফরম পূরণ করার জন্য দিয়েছেন। বিনামূল্যে ফরম পূরণ করতে হবে- বিষয়টি তারা জানতেন না। উল্টো স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের অর্থ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ অর্থ লেনদেনের বিষয়ে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।

 

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com