• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • শুক্রবার | ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:৪২
  • আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ মজুপুরে শিক্ষকের বেদম প্রহারে মাদ্রাসা ছাত্র হাসপাতালে

৬:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টো ২১, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের বেদম প্রহারে মো.মাছুম (১২) নামের এক শিশু শিক্ষর্থী গুরুতর আহত হয়েছে। জেলা শহরের দক্ষিণ মজুপুর মদিনাতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে আজ সোমবার সকালে চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি সদর উপজেলার দীঘলি ইউনিয়নে।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মোবারক করিম মাদ্রাসা ত্যাগ করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা মো.আব্দুল হাই সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, তার শিশুপুত্র মাছুম ওই মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে হেফজ শিক্ষায় অধ্যায়নরত রয়েছে। বিগত কয়েকমাস থেকে সে অসুস্থ রয়েছে। এরপরেও সে পড়ায় মনোযোগী থাকায় মাদ্রাসাতেই অবস্থান করছিল। সোমবার ভোরে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনের প্রাতঃ ছবকে সে অংশ নিতে অক্ষম হয়ে পড়ে। অসুস্থ থাকায় শারীরিক দূর্বলতার কারনে তার এমন অক্ষমতা দেখা দেয়। অথচ শিক্ষক মোবারক তা সহজে মেনে নিতে পারেনি। কথা মতো ছবক দেয়ার অপরাগতায় শিক্ষক ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে বেত দিয়ে উপর্র্যূপুরী বেদম প্রহার করে। এ ঘটনা ঘটিয়ে ওই শিক্ষক নিজের ক্ষোভ এর বহিঃপ্রকাশ ঘটান। বেত্রাঘাতে রক্ষাক্ত জখম হয়ে তার পুত্র অচেতন হয়ে পড়ে। পরে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা তাকে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে পাঠায়। সকালে তিনি এসে আহত অবস্থায় নিজের পুত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছাত্র মাছুম জানায়, অসুস্থতার কারনে তার শরীর খুব দূর্বল ছিল। এজন্য সে নিয়মিত ছবকে আসে নাই। এ অপরাধে শিক্ষক(হুজুর) তাকে বেত দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.আনোয়ার হোসেন জানান, আহত ছাত্রটির শরীরের পেছনে পিঠের অংশে ও কোমরের নীচে বেত্রাঘাতজনিত অসংখ্য রক্তাক্ত দাগ রয়েছে।
ওই মাদ্রাসার ব্যাপস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.বাবর হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই অমানবিক। ঘটনাটির বিষয়ে তারা পরে জেনেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সচেতন সমাজ ঘটনাটিকে বেআইনী উল্লেখ করে যথার্থ শাস্তির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিজ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান জানান, সরকারের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে ওই শিক্ষক অমানবিকভাবে মারধর করেছেন। এতে তিনি ঔদ্ধ্যত্য দেখিয়েছেন।

কালের প্রবাহ/ মীর সুমন

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com