মো. নিজাম উদ্দিনঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছে কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন।
এ সময় প্রায় ২৫/৩০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক ভোটারকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় হামলাকারীরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ভোটার ছিলো। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করে পুলিশ । হামলারীরা ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মিজানুর রহমানের (উটপাখি) সমর্থক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকে টামটা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপচেপড়া ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর এবং যুবক লাঠি হাতে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ সময় তারা ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা কেন্দ্রের ভোট কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় ভোট কক্ষের ভেতরে প্রার্থীদের এজেন্টদের মধ্যে হট্রগোল সৃষ্টি হলে ভোট গ্রহণ সাময়িক বন্ধ থাকে। এসময় কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাহিরে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসলে হামলাকারা পালিয়ে যায়। এসময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে পুলিশ।
দুপুর ১ টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ ভোট কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভিযোগে আনিসুর রহমান ও শামীম হোসেন নামে দুইজনকে আটক করে। এদের মধ্যে শামীম হোসেন কাউন্সিলর প্রার্থী গাজর প্রতীকের মামুন ভুঁইয়ার ভাই বলে জানা গেছে।
এদিকে, কেন্দ্রে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় ভোটারদের উপস্থিতি কমে যায়। ঘটনার পর পরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার শামসুল আরিফ জানান, কেন্দ্রের বাহিরে বহিরাগতরা হট্রগোল সৃষ্টি করলে ১০ মিনিটের মতো ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে পুনরায় ভোট নেওয়া শুরু হয়।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কেন্দ্রর ভেতর এজেন্টদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ । মোবাইলের মাধ্যমে আটককৃতরা বাহিরে বিভিন্ন তথ্য পাচার করে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তাই তাদের আটক করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, কাজিরখিল কেন্দ্রে পাঞ্জাবি এবং উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ব্যাপক মারামারির খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ গিয়ে সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করে। ওই কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।