• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বুধবার | ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | বিকাল ৫:৪৩
  • আর্কাইভ

মান্দারীতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারিজাত পণ্য

৮:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টো ০৫, ২০১৬

প্রবাহ রিপোর্ট : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারীতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারিজাত পণ্য। পরিবেশ নীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে যাচ্ছে তাই পরিবেশে প্রতিদিন এখানে তৈরী হচ্ছে বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারিজাত খাদ্যসামগ্রী। তৈরীকৃত এসব খাবার পৌঁছে যাচ্ছে শহর কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের আমজনতার হাতে। ফলে নোংরা পরিবেশে তৈরী এসব খাবার খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মান্দারী সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। মান্দারী বাজার সংলগ্ন রতনপুর গ্রামের শাহাবুদ্দীন প্রকাশে শাব মিয়ার ব্রিকফিল্ড এর সামনে ‘ বি-বাড়িয়া সোহাগী ফুড ’ নামক একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। শুধু তাই নয় , বিপনন বিধি উপেক্ষা করে সাইনবোর্ডবিহীন ঝুপড়ি ঘরে চলছে উক্ত ফ্যাক্টরির কার্যক্রম। সরেজমিনে দেখা যায়, বেকারির অভ্যন্তর ভাগ যেন একটি মেস বা পরিত্যক্ত বাসা। ওই প্রতিষ্ঠনটির ভিতরে রয়েছে গাছের গুঁড়িসহ পুরনো সব ডালপালা। স্যাঁতসেঁতে মাটিসহ নোংরা পরিবেশ। নামমাত্র একটি ঘরে বড় আকারে চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরে দেখা যায়, শ্রমিকরা মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরিছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। একজন শ্রমিক জানান, মালিকের নাম হাজী সফিকুল ইসলাম।উক্ত বেকারিতে কর্মরত ৭/৮ জন শ্রমিক কাজ করতে দেখলেও কেউ তাদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। চেন্টু গেন্জি পরিহিত এক এসে জানান, তার নাম রাসেল। কি দায়িত্বে আছেন জানতে চাইলে জানান তিনি ম্যানেজার। পরে তিনি এক সময় দাপট দেখিয়ে বলেন, কোন ছবি তুলবেন না। এক সময় তিনি বলেন, শুনলাম আপনি ছবি তুলেছেন, ছবি তুলে থাকলে তা ঠিক হবে না। পরে তিনি চা খাওয়ার অফার দেন। পরিবেশ এমন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই সব তো ঠিক আছে। প্রতিদিন রাতে আমরা এসব পরিষ্কার করেপেলি। তিনি বিএসটিআইর অনুমোদন আছে বলে দাবি করেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন মানহীন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব পণ্য তৈরি হয়, এ প্রশ্ন অনেকের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাজী সফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, প্রতিষ্ঠানে আমি থাকিনা। ওখানে নোংরা পরিবেশে এবং সাইনবোর্ড না থাকার বিষয়টি আমি জেনেছি। পরিবেশ সুন্দর করার জন্য এবং সাইনবোর্ড ঝুলানোর জন্য ওখানে দায়িত্বরতদের নির্দেশ দেবেন বলে জানান তিনি।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com