২:০৯ পূর্বাহ্ণ, জানু ২১, ২০১৮
প্রবাহ ডেস্ক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলির খোসা এবং ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিরাহীমপুর গ্রামে বিরাহীমপুর মসজিদ কমিটি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন,মিলন,আহছান উল্যাহ, সৈয়দ আহাম্মদ,শরিয়ত উল্যাহ,তোবারক হোসেনসহ ১৫ জন ।
স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে জানা যায়,জামে মসজিদটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন করার জন্য মসজিদের মুসল্লিদের নিয়ে বসে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় যুবলীগ কর্মী আনিছুল হক সুমন মাইক এনে মসজিদ কমিটি এখনই ঘোষণা করা হবে বললে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসেম প্রতিবাদ করার পরপরই দুই পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে সাঈদ খোকনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষ মাস্টার নজরুল ইসলামের লোকজনকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। তারা মসজিদের পাশের মাদ্রাসা ও মক্তব ভাংচুর করে এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করেন সাঈদ খোকন পক্ষের আনিছুল হক সুমন।
স্থানীয়রা আরও জানান, আনিছুল হক সুমন সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আমিন উল্যাহ ছেলে ও যুবলীগের কর্মী।
এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ওই মসজিদে মুসল্লিদের আসা-যাওয়া কমে গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আসাদুজ্জমান সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাস্থল থেকে ২টি ব্যবহৃত গুলির খোসা ও ৩টি কাগজে মোড়ানো ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ ব্যাপারে থানায় কোনো পক্ষ মামলা দেয়নি।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩