৫:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রু ২৭, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর ২৭ বছর আগের একটি হত্যা মামলার রায়ে মো. ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
চাচাতো জেঠসকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভায়রা আবু ছায়েদকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ইয়াছিন। দীর্ঘসময় ধরে হত্যা মামলাটির শুনানি শেষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদলতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় দেওয়ার সময় আসামী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন, সে পলাতক রয়েছে।
ইয়াসিন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। সে পেশায় কাপড়ের ফেরীওয়ালা।
ভিকটিম আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর ছিলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ভিকটিম আবু ছায়েদ বিয়ে করার তিন বছরের মাথায় তার ১ম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তাদের ঘরে এক বছরের একটি সন্তান ছিল। দেড় বছর পর আবু ছায়েদ পাশ্ববর্তী নোয়াখালীর চাটখিলে ২য় বিয়ে করে। তবে ১ম স্ত্রীর সন্তানকে লালনপালন নিয়ে ২য় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এর জের ধরে সে তার ২য় স্ত্রীকে তালাক দেয়। ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবু ছায়েদ তাদের প্রতিবেশি খোরশেদ আলমের বাড়িতে দিনমজুরির কাজ করতে যায়। বেলা ১১ টর দিকে ওই বাড়িতে ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতে আসে আবু ছায়েদের চাচাতো ভায়রা মো. ইয়াছিন। ২য় স্ত্রীকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়াছিন ভায়রা আবু ছায়েদকে গালমন্দ শুরু করে। এ সময় দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। এক পর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে আবু ছায়েদের মাথায় আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই রাতেই আবু ছায়েদের মৃত্যু হয়। সেখানেই তার ময়নাতদন্ত করা হয়।
এদিকে স্থানীয় লোকজন হত্যাকারী ইয়াছিনকে আটক করে রাখলেও পরে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী নিহত আবু ছায়েদের ছোটভাই শাহ আলম বাদি হয়ে ইয়াছিনকে আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ আগষ্ট আসামী ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নেপাল রঞ্জন বড়ুয়া।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩