• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার | ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:৫০
  • আর্কাইভ

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেললেন রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

৭:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রি ২০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রামগতির আলেকজান্ডার বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলটির নেতাকর্মীরা। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ প্রঙ্গনে পোস্টারগুলো টাঙানো হয়। গত ৫ এপ্রিল দুপুরের দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল তার দুইজন স্টাফ মো. শাহজাহান ও সাহাবউদ্দিনকে সাথে নিয়ে পোস্টারগুলে ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনাটি উপজেলা পরিষদের সিসি টিভি ক্যামেরাতে ধারণ হয়। এরপর বিষয়টি জানতে পারেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও জাতির জনকের ১৭ মার্চ জন্মদিন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামগতি উপজেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল পোস্টারগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছিঁড়ে ফেলে। এতে তিনি দৃষ্টতা দেখিয়েছেন এবং রাষ্ট্রদোহী কাজ করেছেন। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনগত প্রতিকার দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একজন জনপ্রতিনিধির এ রকম জঘণ্য ও ন্যাক্কারজনক কাজে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান সোহেল বারবার সরকারী সম্পদ লুষ্ঠন ও উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। নামে বেনামে প্রকল্প দিয়ে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘণ করে তার ছোট ভাইকে দিয়ে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ দিচ্ছেন। এতে অত্যন্ত নিন্মমানের কাজ হচ্ছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পরিষদের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। সরকারী গাছ কেটে নেওয়া এবং কুকুরের ভ্যাক্সিনের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে রহস্যজনক কারণে তিনি পুনর্বহাল হন। দায়িত্ব ফিরে পেয়ে দুর্নীতিতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান সোহেল।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন বলেন, পৃথক দুটি দিবস উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। দিবস শেষে পোস্টাগুলো সরানোর কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহেল বিএনপি করে, সে কারণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পোস্টারগুলো তিনি ছিঁড়ে ফেলেছেন। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

তিনি বলেন, আজাদ উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েও জাতীয় দিবসগুলোতে সে উপস্থিত হয় না। হলেও ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com