১:০২ পূর্বাহ্ণ, ডিসে ১০, ২০২০
প্রবাহ ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ভার্চুয়াল বিনিয়োগ সম্মেলনে ডাচ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরা বাংলাদেশের পানি, মৎস্য ও সমুদ্র সম্পদ খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বিনিয়োগ সম্মেলনটি ৮ এবং ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে ডাচ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরা এমন আগ্রহ দেখিয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় বাংলাদেশের পানি ও সমুদ্র সম্পদ খাতে ডাচ বিনিয়োগ আকৃষ্টের বিষয়ে একাধিক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। দুই দেশের মুখ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনায় এ খাতে সম্ভাব্য ডাচ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও বিনিয়োগকারীরা কিভাবে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ খাত, বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ আহরণ, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান, বন্দর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডাচদের উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সহায়ক হতে পারে। শিল্প ও কৃষিতে পানির পরিমিত ব্যবহার, শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বস্ত্র শিল্পের জন্য পানি শোধন, পুনঃব্যবহার, সমুদ্র থেকে নতুন ভূমি তৈরি, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দেশের নৌপথের নাব্য বজায় রাখা, নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির জলযান নির্মাণ, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের উপযোগী ট্রলার নির্মাণ, ইত্যাদি বিষয়ে ডাচ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের শহুরে জনগোষ্ঠীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে বিভিন্ন পৌরসভায় পানি শোধন, সমুদ্র খাতের মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতেও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
আলোচনায় বলা হয়, চট্টগ্রাম, মাতারবাড়ী ও পায়রা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য দেশেও পণ্য রফতানি ও পরিবহনের সুযোগ থাকায় ডাচরা কৃষি, প্রকৌশল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’-এর আওতায় অবকাঠামো খাতের বাইরে জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষুদ্র উদ্যোগেও মাঝারি ও ক্ষুদ্র ডাচ উদ্যোক্তারা সহজে যুক্ত হতে পারেন। দায়িত্বশীল স্থানীয় অংশীদার পাওয়া সাপেক্ষে এসব খাতে অধিকসংখ্যক ডাচ উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইঙ্গিত প্রদান করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, এই বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সরাসরি, গভীরতর যোগাযোগ ও নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত ডাচ সরকারের শীর্ষ সংস্থা দূতাবাসের এই উদ্যোগের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংযুক্ত হয়েছে।
৩:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসে ১৩, ২০২০