১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০২২
নারী
ফাতেমা-তুজ-জোহরা(মনিকা)
নারী তুমি কখনো সৃষ্টির স্থিতি
কখনো তুমি সৃষ্টির বাহক
কখনো তুমি খুশির হিল্লোল
কখনো তুমি না বলা পংক্তি
কবিতার ছন্দ কবির কল্লোল
গীতিকারের গান উপন্যাসের চরিত্র।
কতরূপে সৃষ্টি করেছে তোমারে বিধাতা
কন্যা ভগ্নী জননী জায়া
হৃদয় জুড়ে একটাই খনি মায়া।
আপনকে পর করে
পরকে কর আপনার
পরের মাঝে খোঁজ তোমার স্বজন।
সংসার সুখের হয় তোমার তরে
দুঃখের অনলেও পুড়ে তোমার কারনে
সন্তান সন্ততিরে তোমার গর্ভে
দশ মাস দশ দিন ধরে কর লালন
তোমার রক্তে মাংসে
মানব শিশুকে করেছো সৃজন।
ঘরকে আপন করে
থাকতে চাইবে যখন ঘরে
কিছু লোক তোমাকে বলবে
পুরনো আমলের কিংবা সেকেলে।
আবার তুমিই যখন
যেতে চাইবে বাইরে
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে
বলবে তোমায় সকলে মিলে
আধুনিকা উৎশৃঙ্খল মেয়েছেলে।
আজকের এ যুগেও যখন
পুরুষের কাঁধে মিলিয়ে কাঁধ
করতে চাইবে তুমি কাজ
কিছু লোক তোমাকে বলবেই
ব্যভিচারিনী দ্বিচারিণী নেই কোন
হায়া লজ্জ্বা লাজ।
আজও সংসারে নারীর শত্রু নারী
যেমন তোমার মা বোন কিংবা দাদী
তোমার ভাইয়ের মত আদর
দিবে না তোমায় আজও
ভাইয়ের সাথে করবে বিভাজন
তারাই ভাববে না
তুমিও পুরুষের মত
মেধা বুদ্ধিতে সমান
সমাজ ও জাতিকে বাড়াবে সম্মান
দশ ও দেশের মাঝে
হবে অতুলনীয়া অম্লান।
যুগে যুগে মানব জাতি
তোমার কাছে ঋণী
তোমার কোলে জন্ম নিয়ে
হয়েছে জ্ঞাণী গুণী মহাজন
সংসারে সমাজে তোমার
অবদান সবচাইতে বেশি
কিন্তু নেই কোন স্বীকৃতি।
আজকে বিশ্বে যে জাতি
নারীকে দিতে পেরেছে
প্রকৃত মর্যাদা সম্মান গ্লানিকে ভুলে
নিজের চিত্তকে করেছে শুদ্ধি
বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে
নিজেকে শ্রেষ্ঠ করতে পেরেছে প্রমাণ।
কবি :- ফাতেমা – তুজ – জোহরা ( মনিকা)
উপ-সহকারী প্রকৌশলী
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
সদর উপজেলা, লক্ষ্মীপুর।