৮:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রি ২৮, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছেন। বিচার বিভাগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে বিচার নেই, সেখানে মানুষের অন্য মৌলিক অধিকার অর্থহীন। কেউ যদি প্রভাবশালী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার জন্য আছে আইন-আদালত। আদালতে বিচার পাওয়া না গেলে অন্য কোন কিছু মানুষকে সুখ দিতে পারে না। ন্যায় বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার।
লক্ষ্মীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন” এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, একটা অন্যায় হলো কিন্তু বিচার হলে না, তখন কিন্তু মানুষ আইন হাতে তুলে নেয়। যদি ভাবে মানুষ আদালতে গেলে বিচার পাবে তখন আর অন্যায় কাজ করবে না। দেশে যদি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে সমাজ থেকে অপরাধ কমবে।
লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, অনেক সময় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারনে অনেক অসহায় এবং সাধারণ লোকজন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও অনেকে আদালতের দারস্থ হতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে যে কেন মানুষকে বিনা খরচে আইনী সহায়তা দেওয়া হয়। বিশেষ করে সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।
লিগ্যাল এইডের সেবা নিতে হলে সেবাপ্রার্থীকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও এনজিওর মাধ্যমে অথবা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নুরুল আফছারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাদেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা আমিনা ফাহিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিনামূল্যে আইনি সহায়তার নানা দিক তুলে ধরে অসহায় ও বঞ্চিতদের পাশে সরকারের সহয়াতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরে বিশেষ সেবা প্রদানে বর্ষসেরা নির্বাচন করে দুই আইনজীবিকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।
জানা গেছে, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে জেলায় ৩৩৪ টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৭৫টি মামলা নিস্পত্তি হয়। এছাড়া ৪৯০টি এডিআর এর মধ্যে ৩০৭টি নিস্পত্তিসহ অর্থ আদায় হয় ২৯লাখ ৫ হাজার টাকা। গেলো বছরে উপকারভোগী হন ৩৫০ জন।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩