• ঢাকা,বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার | ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | রাত ৪:৪১
  • আর্কাইভ

চাহিদামত ঘুষের টাকা বুঝে নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেন প্রকৌশলী মামুন

২:০২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টে ২৮, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতিসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দিনদিন তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির ফিরিস্তি বেড়েই চলছে। একের পর এক দুর্নীতি করেও কোন জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতিতে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ছোট- বড় কাজ এমনকি মসজিদ – মাদ্রাসার কাজ কোনটিতেই তার দুর্নীতি থেমে নেই। তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে জিম্মি হয়ে পড়েছেন জেলা পরিষদের ঠিকাদাররা। এ পরিস্থতিতে ঠিকাদারদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ঠিকাদার জানান, তাদের অনেকের ফাইল আটকে রেখে ৫ শতাংশ হারে টাকা আদায় করেন মামুন। ৫ শতাংশ কমিশন চুক্তিতে তিনি কাজ পরিদর্শনে যান। চুক্তির টাকা পরিষদ না হওয়া পর্যন্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এভাবে জেলা পরিষদের একাধিক কাজের ফাইলে স্বাক্ষর না করার বিল স্থগিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ঠিাকাদাররা।

এসব অনিয়মের কারণে এরআগেও জেলা পরিষদ থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে তিনি আবার যোগদান করে ফের দুর্নীতির আখড়া খুলে বসেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই জেলার বেশ কয়েকটি যাত্রী চাউনী মেসার্স আজিম বাদ্রার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে পাইয়ে দিয়েছেন মামুন। তার নিয়ন্ত্রণেই এসব প্রকল্পের কাজ চলছে।

এছাড়াও তিনি মসজিদ মাদ্রাসার অনুদানের বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকেও কমিশন নেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট মিয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসার ১ লাখ টাকার কাজে তিনি ১৬ হাজার টাকা কমিশন নিয়েছেন।

জেলা পরিষদের একাধিক ঠিকাদার জানায়, প্রকৌশলী মামুন জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প কোটেশানে দিবে বলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দরবিজ্ঞপ্তির পর লটারীর মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ পেলেও তাকে কমিশন দিতে হয়। ৫ শতাংশ কমিশন না পেলে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করেন না।

ঠিকাদার এডভোকেট মাহবুবুল হক সুজন বলেন, মামুন টাকা ছাড়া কোন ফাইল স্বাক্ষর করেন না। আমার প্রতিষ্ঠানের যতগুলো ফাইল স্বাক্ষর করেছে সবগুলোতে তাকে টাকা দিতে হয়েছে।

মেসার্স এসবি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি বলেন, পারিবারিক কাজের কথা বলে মামুন আমার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছে। কাজ শেষে দিবে বলে বেশ কয়েকমাস অতিক্রম হলেও টাকা দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে আমার লাইসেন্সে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এড়িয়ে যান।

দুর্নীতিসহ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। একটি চক্র আমাকে পেশাগত কাজে হেয় করার লক্ষ্যে অপ-প্রচার চালাচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি কোন ঠিাকাদার আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ



Design & Developed by Md Abdur Rashid, Mobile: 01720541362, Email:arashid882003@gmail.com