১২:৫৮ অপরাহ্ণ, নভে ১০, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চার আবদুল্যা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় প্রায় ২০ টির মতো গবাদি পশু ঘরের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকাল ৯ টাকা থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত ঝড়ো বাতাসে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। মূহুর্তের মধ্যে চার আবদুল্যা ইউনিয়নের চরগজারিয়া ও তেলির চর এলাকায় ছোট-বড় প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় প্রায় ২০ টির মতো গবাদিপশুর প্রাণহানী ঘটে এবং শতাধিক গাছপালা উপড়ে ও ভেঙ্গে যায়। এছাড়া নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে কিছু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে গুরুতর কোন হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, রামগতির চর আবদুল্যা ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অবস্থিত। সেখানে কোন সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেনি সেখানকার লোকজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার চর আলেকজান্ডার এলাকায় অবস্থিত সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নিতে আহ্বান করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি চর অাবদুল্যা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গুটি কয়েক লোকজন নদীর ওপারে আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও বেশির লোকজন নিজ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।
এছাড়া বুলবুলের তান্ডবে বিধ্বস্ত ঘরের লোকজন আশপাশের লোকজনের ঘরে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে জানা গেছে।
চর আবদুল্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন দুপুর ১টার দিকে কালের প্রবাহকে জানান, ঝড়ে তাদের ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে ঝড়ো বাতাস অব্যাহত আছে। সেই সাথে ভারী বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
এদিকে, বুলবুলের প্রভাবে জেলার অন্য কোথাও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত ও হালকা বাতাস হচ্ছে জেলাজুড়ে।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধানসহ শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির অাশঙ্কা করছে কৃষকরা।
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩