৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুলা ২৯, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে চরশাহী ইউপি চেয়াম্যান ও উপজেলা আ’লীগ নেতা গোলজার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে স্থানীয় যুবলীগ নেতার দায়েরকৃত মামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয় ভাংচুর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতে এ মামালা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে চরশাহীর বসুরহাট চৌরাস্তা বাজারে এলাকাবাসী ও আ’লীগ নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
এ সময় তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। চেয়ারম্যান গোলজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম চৌধুরী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাহাজান কামাল, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, সাবেক সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ আলম, চন্দ্রগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনছারী ও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ দলের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবা ব্যবসা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সম্প্রতি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করলে সেই টের পেয়ে পালিয়ে গেলো তার মোটরসাইকেল জব্দ করে। এর কিছুক্ষণ পর রিয়াজ ও তার অনুসারীদের নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের দলীয় কার্যালয় হামলা করে। ভাংচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি।
বক্তরা জানান, ভাংচুরের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রবিন, ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সোলায়মানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের নামে মামলা করে রিয়াজ।
বক্তরা রিয়াজকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, তিনি ইয়াবা ব্যবসা, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নন। বরং ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের নির্দেশে তার অনুসারীরা রিয়াজের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় গেল ২২ জুলাই ইউনিয়ন যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর এবং ওই কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে।