চরশাহীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আ.লীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
চরশাহীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আ.লীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
৭:২৭ পূর্বাহ্ণ, জানু ৩০, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) সোলাইমান হোসেনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মো. নুরুল হুদা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্ত সোলাইমান চরশাহী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী।
ভূক্তভোগী নুরুল হুদা একই ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মনা উদ্দিন মিয়াজী বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে একটি ভাঙ্গারী দোকানের কর্মচারী।
নুরুল হুদা জানান, কোন এক সময়ে তিনি বিএনপিকে সমর্থন করতেন। তবে সময়ের পরিবর্তনে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে গেলে বিএনপিকর্মী ও ইউপি সদস্য সোলাইমান হোসেনের সাথে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এছাড়া কয়েকদিন আগেও এলাকার একটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য সোলাইমান নুরুল হুদাকে গালমন্দ করেন। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। শনিবার সন্ধ্যায় নুরুল হুদাকে দাশেরহাট বাজারে পেয়ে মারধর করেন সোলাইমান।
৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল পাটওয়ারী এবং সাধারণ জহিরুল ইসলাম বলেন, অহেতুক সোলাইমান মেম্বার আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল হুদাকে মারধর করেছে। একজন দায়িত্বশীল লোক হয়ে সে কাজটা করা ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগ করার কারনেই নুরুল হুদাকে মার খেতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিংকু বলেন, ইউপি সদস্য সোলাইমান বিএনপির রাজনীতি করে। এ কারনে আওয়ামী লীগের লোকজনকে সে সহ্য করতে পারে না। এছাড়া বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলার আসামীদের সাথে তার ওঠাবসা। তাদের মাধ্যমে সে এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে চায়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সোলাইমান হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য হিসেবে আমি একটি ঘটনায় গেলে নুরুল হুদা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। শনিবার বিকেলে দাশেরহাট বাজারে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এ সময় আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তবে তাকে মারধর করিনি।
চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চলাফেরার বিষয়ে বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি, সে হিসেবে বিএনপির লোকজনের সাথে চলাফেরা করি। আমি বিএনপি করার কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান এড. জাহাঙ্গীর আলম রাজু বলেন, নুরুল হুদাকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। দায়িত্বশীল একজন ইউপি সদস্য হয়ে সোলাইমান কাজটি ঠিক করেনি।