১:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসে ১৩, ২০১৭
প্রবাহ ডেস্ক:
একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ডা. সালাউদ্দিন শরীফের আচরণও দুঃখজনক। তিনি উত্তেজিত হয়ে মারামারি করে ঠিক করেননি। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে তার কাছে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছুই শেখার রয়েছে।
আদালত আরও বলেন, ঘরে বা অফিসে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করা অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, মোবাইল কোর্ট স্পটে গিয়ে পরিচালনা করতে হয়। ঘরে বা অফিসে বসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা অবৈধ।
ইদানিং দেখা যাচ্ছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থ, ক্ষমতা প্রদর্শনের মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এমন কাউকে এখানে পদস্থ করা যাবে না যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়। আশা করি, তারা আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।
বুধবার এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টাল আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম। অন্যদিকে এডিসি মোর্শেদুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার এবং ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
পরে হাসান এমএস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এক সিভিল সার্জনকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় এডিসি ও সেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন। তারা একটি চিঠিও আদালতকে দেখিয়ে বলেছেন,ওইদিন ম্যাজিস্ট্রেট একটি স্কুলে দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু আদালত বলেছেন, এটা নজিরবিহীন ও বানোয়াট চিঠি। এরপর আদালত তার আদেশ দেন।’
লক্ষ্মীপুরে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এক সিভিল সার্জনকে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কারণ একজন এডিসি জেনারেলের সঙ্গে ওই সার্জনের ব্যক্তিগত বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ কারণে সিভিল সার্জনকে ডিসি অফিসে ডেকে নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয় এবং পুলিশের মাধ্যমে তাকে জেলে পাঠানো হয়।
পরে বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ হলে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটেছে দেখে গত ৫ ডিসেম্বর দু’জন আইনজীবী সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সংশ্লিষ্ট দুজনকে আদালতে হাজির হয়ে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
৮:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রি ২৮, ২০২৩
১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রি ২৭, ২০২৩